ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
গোটা দেশে যে আর্থিক মন্দা চলছে, তা কাটাতে কি আদৌ কোনও সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র? অন্তত তেমন দিশা দেখছে না শিল্পমহল। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মায়াঙ্ক জালান বলেন, ডিভিডেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্সের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে কর্পোরেটদের, এটি অবশ্যই সদর্থক পদক্ষেপ। শিল্পমহল চেয়েছিল, সরকার বাজারে কেনাকাটা বাড়ানোর উদ্যোগ নিক। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর জায়গা দেওয়া হোক। ব্যাঙ্কে বরাদ্দ বাড়ানো হোক। তা কতটা হল, সেই বিষয়ে জানতে আরও সময় লাগবে। ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট রমেশকুমার সারোগিও বলেন, শিল্পের চাকা ঘোরানো এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার কী পদক্ষেপ করল, তার আঁচ পেতে আরও একটু গভীরে পর্যালোচনা প্রয়োজন। বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট অর্পণ মিত্র বাজেট নিয়ে প্রশংসা করেছেন। তবে তাঁর আশা ছিল জিএসটির হার এবং তার রিটার্ন জমা দেওয়ার পদ্ধতিতে সরলীকরণ হবে। কিন্তু তা হয়নি। ভবিষ্যতে সরকার এই নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে বলেই আশাবাদী তিনি।
এক লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির যে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে আরও বেশি করে সংস্কার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করে মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। তাদের কথায়, সরকার যে পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করল বাজেটে, তা যদি নির্দিষ্ট সময় মেনে করা যায় এবং আর্থিক ঘাটতির বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যায়, তাহলে অর্থনীতির ভোলবদল সম্ভব। আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে কিছুটা সন্দিহান বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও। তাদের কথায়, যে আর্থিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ, তাতে ওই লক্ষ্যপরণ কিছুটা চাপের বিষয়। এই বণিকসভাটির দাবি, মোটের উপর ভালো হয়েছে বাজেট। যদি রেটিং করা হয়, তাহলে দশের মধ্যে ছয় দিতে চায় বেঙ্গল চেম্বার। নির্মলা সীতারামনের বাজেট প্রস্তাবকে ‘ফিল গুড’ বাজেট হিসেবে বর্ণনা করেছে ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্স। তবে বাজেট নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী অঞ্জলি জুয়েলার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর অনর্ঘ উত্তীয় চৌধুরী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাজেটে মানুষের হাতে বেশি নগদ জোগানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশা করা যায়।
কলকাতার বণিকসভাগুলি যেমন বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তেমন জাতীয় স্তরের চেম্বার অব কমার্সগুলিও বাজেটের কয়েকটি দিক নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে। শিল্পের কর ছাড় বা সামাজিক ও পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার যেভাবে জোর দিয়েছে, তাতে খুশি সিআইআই, ফিকি বা অ্যাসোচেমের মতো বণিকসভাগুলি। কিন্তু উৎপাদন শিল্প থেকে শুরু করে শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে রা কাড়তে চায়নি কেউই।