পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই আইন কার্যকর হলে ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। ব্যাঙ্কে জমা টাকার উপর বিমার পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করায় প্রশ্ন উঠছে, এই পদক্ষেপ কেন? যদিও অর্থমন্ত্রী আজ বলেছেন, আমি আশ্বস্ত করছি মানুষের ব্যাঙ্কে রাখা টাকা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। আবার জীবনবিমা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, শেয়ার বাজারে পাবলিক ইস্যুর মাধ্যমে এবার বিলগ্নিকরণ করা হবে জীবনবিমা নিগমের। একইসঙ্গে আইডিবিআই ব্যাঙ্ককেও বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবনবিমার ১০০ শতাংশ শেয়ার এখন সরকারের কাছে। সেই অংশীদারিত্বের কিছু অংশ বিক্রি করা হবে। কেন এই সিদ্ধান্ত? এর কারণ মোদি সরকারের রাজকোষের সঙ্কট। চলতি আর্থিক বছরে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। আগামী আর্থিক বছরের শেষে অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকা শুধু বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ারই বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তার আগে শিপিং কর্পোরেশন, কন্টেনার কর্পোরেশন, ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশনের বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এবার জীবন বিমা নিগম।
১৯৫৬ সালে তৈরি হওয়া জীবনবিমা সংস্থার সঙ্গে যে কোনও স্তরের দেশবাসীর সম্পর্ক অত্যন্ত আত্মিক। কারণ, উদারীকরণের আগে এবং পরেও সতর্ক, মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত ভারতবাসীর ঘরে একটি হলেও জীবনবিমার পলিসি পাওয়া যাবে। সেই সংস্থা বেসরকারি হাতে গেলে ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৮ শতাংশ। যা ৩ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য এবার তো নয়ই, আগামী আর্থিক বছরও হয়তো পূরণ হবে না। বরং প্রশ্ন উঠছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদ বিক্রি করে সরকারের সংসার কতদিন চলবে?