সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
এদিন দুপুরে রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে ফায়ার লাইসেন্স ফি নিয়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনতেন। তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ফায়ার লাইসেন্স ফি খুবই কমিয়ে দেওয়া হল। দমকল দপ্তরের কাজ হল পরিষেবা দেওয়া, এটা রাজস্ব আদায়ের দপ্তর নয়। ছোট, মাঝারি থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং (সাড়ে ১৪ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা), শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আর্ট গ্যালারি, গ্রন্থাগার প্রভৃতির জন্য এতদিন ফায়ার লাইসেন্স ফি দিতে হতো প্রতি বর্গমিটারে ৫৩.৮০ টাকা। তা কমিয়ে করা হল প্রতি বর্গমিটারে ৪.৩৫ টাকা।
এছাড়াও অর্থমন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, গেস্ট হাউস, থ্রি স্টার হোটেল, বার ছাড়া রেস্তরাঁ সহ সমগোত্রীয় ক্ষেত্রে বর্তমানে লাইসেন্স ফি দিতে হয় প্রতি বর্গমিটারে ৮০.৭০ টাকা। তা কমিয়ে করা হল প্রতি বর্গমিটারে ৬.৫২ টাকা। বন্দর, বিমানবন্দর, থ্রি স্টারের বেশি হোটেল, বারসহ রেস্তরাঁ, শপিং মলের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ফায়ার লাইসেন্স ফি দিতে হয় ১০৭.৬০ টাকা। তা কমিয়ে করা হল ৮.৭০ টাকা। ম্যানুফাকচারিং শিল্পের ইউনিট, এক্সপ্লোসিভ রাখার স্থান, তৈল শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যালসের জন্য এখন ফায়ার লাইসেন্স দিতে হয় প্রতি বর্গমিটারে ১৬১.৪০ টাকা। তা কমিয়ে করা হল ১৩.০৫ টাকা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ২০১৭ সালের তুলনায় ৯২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হল। তবে ২০০৫ সালের তুলনায় অল্প কিছু বেড়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে যা ফি ছিল তার থেকে ১০.৬৮ গুণ বেডে যায় ২০১৭ সালে। এক ধাক্কায় দশগুণের বেশি বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও শিল্পমহলে নড়াচড়া পড়ে যায়। বণিকসভা ও শিল্পপতিদের প্রতিনিধিরা দমকল দপ্তরকে তাদের আপত্তির কথা জানানও। কিন্তু বিষয়টি দমকলের দপ্তরের অধীনে নয় বলে তারাও জানিয়ে দেয়। দমকল দপ্তরের পক্ষ থেকে শিল্পপতি ও বণিকসভার প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ফি পরিকাঠামো তৈরি করে অর্থদপ্তর। এ ব্যাপারে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।
কিছুদিন আগে বিভিন্ন শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিরা নবান্ন সভাঘরের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়কে ফায়ার লাইসেন্স ফি স্ট্রাকচার নিয়ে আপত্তির কথা জানান। কয়েকজন এ ব্যাপারে ক্ষোভও জানান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, আমি শুনেছি, ফায়ার লাইসেন্স ফি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি। এরপরই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, তাঁর দপ্তরের অফিসার এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও তাঁর দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেন। সেখানে নতুন ফি কাঠামো তৈরি হয়। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই কাঠামোতে সিলমোহর লাগালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।