ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কলকাতার বিভিন্ন দোকান থেকে দেশের ২১টি সংস্থার ২৯ রকমের খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে সদ্যোজাতের খাবার যেমন ছিল, তেমনই ছিল পুষ্টিকর তরল বা হেলথ ডিঙ্কস, প্রাতরাশের খাদ্য ইত্যাদি। যাদবপুরে এগুলি নিয়ে পরীক্ষার পর তা কলম্বিয়ার একটি ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রেখেই এই সব নমুনার উপর পরীক্ষা করা হয়। কারণ, তাপমাত্রার হেরফের হলে এইসব খাদ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যাদবপুরের গবেষকদের পরীক্ষার ফল যাচাই করতে গিয়ে হতবাক সেখানকার অধ্যাপক-গবেষকরা। দেখা যায়, নমুনা খাবারে মারাত্মক পরিমাণে অ্যাফলাটক্সিন এবং জীবাণু থেকে উৎপন্ন হওয়া বিষাক্ত উপাদান ডিঅক্সিনিভালেনল (ডন) রয়েছে। যা শরীরে গেলে নানা ক্ষতি করতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মে, খাবারে এই অ্যাফলাটক্সিনের পরিমাণ বেঁধে দেওয়া আছে। অথচ, ভারতে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অনেকটাই বেশি অ্যাফলাটক্সিন মিলেছে গবেষণায়। শুধু তাই নয়, এই সব খাদ্য তৈরির জন্য ভিন দেশ থেকে কাঁচামাল কেনা হয়েছে। সেখান থেকেও বেশি পরিমাণে এই বিষ চলে আসতে পারে। কারণ প্রত্যেক দেশেই অ্যাফলাটক্সিনের অনুমোদনযোগ্য মাত্রার নিয়ম আলাদা। তাই সর্বত্রই একটা অভিন্ন নিয়ম থাকা দরকার বলে মত গবেষকদের। তাছাড়া শিশুদের স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে বিভিন্ন খাবার তৈরির নিয়ম ও বিধি আরও কড়া হওয়া দরকার।
এ থেকে কী কী ক্ষতি হতে পারে শিশুদের? যাদবপুরের গবেষক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, একাধিক রোগ ও সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত অ্যাফলাটক্সিন শরীরে ঢুকলে শিশুর হজমশক্তি কমে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্যান্সারের আশঙ্কাও থাকে। এছাড়া, স্মৃতিশক্তি প্রভাবিত হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। উপকারী জীবাণুগুলিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এ ধরনের উদ্বেগজনক বিষয় কি আপনারা রাজ্য সরকারের গোচরে আনবেন? উত্তরে ওই গবেষক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার কোনও সাহায্য চাইলে, তিনি তা করতে প্রস্তুত।