পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার টিটাগড়ের এম্পায়ার জুট মিলে কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এক শ্রমিক। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে। অভিযোগ, সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি। সেখান থেকে বারাকপুর মহকুমা হাসপাতালে ফেরত আনার পথে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সহকর্মীর মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই মিলের শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়ায়। কাজ বন্ধ করে মিল থেকে বেরিয়ে যান শ্রমিকরা। অভিযোগ, ইএসআই প্রত্যেক শ্রমিকের বেতন থেকে কাটছে মিল মালিক। কিন্তু সেই টাকা জমা দেওয়া হয় না। শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ইএসআই হাসপাতাল ভর্তি নেয় না। চিকিৎসা হয় না। কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, টাকা জমা হয়নি। বাইরের কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে নিন। ইএসআই জমা না হওয়ার কারণেই কামারহাটি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পথে একজন শ্রমিক মারা গেল।
সুকুমার কুণ্ডু নামে এক শ্রমিক বলেন, ইএসআই, পিএফ কিছুই জমা পড়ে না। অথচ প্রতিমাসে ইএসআই, পিএফ বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়। প্রত্যেক শ্রমিককে বঞ্চিত করছে মিল কর্তৃপক্ষ। এদিন সকালে মিল গেটে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে যাঁরা কাজ করেন, প্রত্যেকেই দরিদ্র। মিল বন্ধ হওয়ায় আমরা অসহায় হয়ে পড়লাম। মিল খোলার দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় জুট মিল গুলি ধুঁকছে। কাঁকিনাড়া, শ্যামনগর, নৈহাটি, জগদ্দলে একাধিক জুট মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রায়দিন জুট মিল বন্ধ হওয়ার খবর আসছে। কাজ হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।