কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালীন ইউপিএ সরকার সোনার উপর আমদানি শুল্ক ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করে। সেই হার কমানোর জন্য শিল্পমহলের তরফে চাপ ছিল। কিন্তু প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ইউপিএ জমানার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরেননি নরেন্দ্র মোদিও। তাঁর দ্বিতীয়বারের শাসনকালে তা কমেনি, বরং বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আরও ২.৫ শতাংশ। গতবারের বাজেটে আমদানি শুল্ক রাখা হয় ১২.৫ শতাংশ। যেভাবে দেশে সোনার চোরচালান বাড়ছে, তাতে এবার অন্তত সেই হার কমুক, চায় কাউন্সিল।
মোদি সরকার যে গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিম চালু করেছিল, তা নতুন করে চালু করতে কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিল। এখনকার ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন বলেন, স্কিমটিতে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১১.১ টন সোনা জমা হয়েছে। মন্দিরে সঞ্চিত সোনা এবং সাধারণ মানুষের লকার বা আলমারিতে জমানো সোনার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার টন। সরকার যদি জুয়েলার বা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই স্কিমে যুক্ত করে, তাহলে তাদের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, মাসিক কিস্তিতে সোনার কেনার সুযোগ দিক কেন্দ্র। কারণ যদি কেউ ঋণ নিয়ে গয়না কেনেন, তখন পার্সেনাল লোন বাবদ চড়া সুদ দিতে হয়। যদি কিস্তিতে স্বর্ণকারকে টাকা মেটানোর সুযোগ পান গ্রাহক, সেক্ষেত্রে বিক্রি বাড়বে, আশা শঙ্করবাবুর। পাশাপাশি তিনি বলেন, বহু মানুষ আছেন, যাঁরা সোনা কেনেন বিপদে কাজে লাগানোর জন্য। চিকিৎসা বা অন্যান্য কোনও আকস্মিক কারণে টাকা দরকার হলে তাঁরা সেগুলি কাজে লাগান। কিন্তু আয়কর আইনের ৪০এ ধারা বলছে, কোনও স্বর্ণকার দিনে ১০ হাজার টাকার বেশি নগদে কোনও ব্যক্তিকে দিতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যদি দিন পিছু এক লক্ষ টাকার অনুমতি দেয় কেন্দ্র, তাহলে তা বহু মানুষের উপকারে লাগবে, দাবি করেছেন শঙ্করবাবু।
কাউন্সিলের সদস্য এবং বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, আমাদের মূল দাবি গয়নার হলমার্কিং নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে ১৪, ১৮ এবং ২২ ক্যারেটের গয়না ছাড়া অন্য কোনও ক্যারেটে গয়না তৈরি করা যাবে না। অথচ ভারতের ইতিহাস বলছে, ১৯৬৩ সালের গোল্ড কন্ট্রোল আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র ১৪ ক্যারেট গয়না তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন হয় এবং ২৬৭ জন স্বর্ণশিল্পী আত্মহত্যা করেন। তার জেরে ১৯৯০ সালে ওই আইন প্রত্যাহার করে সরকার। তাহলে আবার কেন ১৪ ক্যারেটকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে হাঁটছে কেন্দ্র? টগরবাবুর বক্তব্য, সরকার তাঁদের হস্তশিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আবার সোনার ক্যারেটও বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু যাঁরা কম ক্যারেটের পুরনো গয়না ভেঙে একই মাপের নতুন গয়নার বরাত দেন, তাঁদের সেই বরাত নেওয়া যাবে না। এটি শিল্পী সত্তার উপর আঘাত। কারণ তাঁর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এক্ষেত্রে। এটিরও সমাধান চান তাঁরা।