গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আলোচনা শেষে ফোসিনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, খুবই ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের সমস্যাগুলি বলেছি। লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছি। আমরা আশাবাদী কিছু সুফল এবার হবে।
এদিনের আলোচনা সভায় ফোসিন মূলত জোর দিয়েছে, এলাকার পুরনো ও নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটগুলিতে জমির ইজারা ভাড়া বা লিজ রেন্ট কমানোর উপর। তারা জানিয়েছে, এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটগুলিতে জমি নিতে গেলে প্রচুর টাকা (ইজারা ভাড়া) লাগে। দুর্গাপুর বা কলকাতা ও সন্নিহিত শিল্পাঞ্চল এলাকায় জমির জন্য এত টাকা লাগে না। এলাকার ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে এই লিজ ভাড়া কমানো অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা দরকার। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, এখানে দুর্গাপুর বা কলকাতার মতো জমির দাম হয় নাকি! আমরা বিষয়টি এদিন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করেছি। তাঁরা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে এখানে সমস্যা হয় বলেও ফোসিন জানিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখানে ঋণ পাওয়া যায় না। ঋণ মিললেও তা সময়ে পাওয়া যায় না। এলাকার ব্যবসায়ী ও উদ্যোগপতিদের প্রয়োজনীয় অর্থের চাহিদা ব্যাঙ্ক সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মেটানো উচিত। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্ক লোন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। অথচ উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান অঙ্গ ব্যবসা-বাণিজ্য। এখানকার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অর্থের জোগান সুবিধাজনক ও সহজ হওয়া প্রয়োজন। এখানে ব্যাঙ্কের কয়েকটি শাখায় বৈদেশিক মুদ্রা (বিশেষ করে ভুটান ও নেপালের মুদ্রা) বিনিময়ের কাউন্টার খোলা প্রয়োজন। পাশাপাশি ২০১৮-১৯ সালে মতো ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের ক্ষেত্রে পুরনো বিবাদ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত স্কিমটি পুনরায় চালু করার প্রস্তাবও ফোসিন রেখেছে। তারা জানিয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে ওই স্কিমের পুরো সুযোগ সংগঠন গ্রহণ করেছিল। এন্ট্রি ট্যাক্স, বিক্রয় ক্রয়, ভ্যাট, সিএসটি’র ক্ষেত্রে জমে থাকা পুরনো বিবাদগুলি নিষ্পত্তি করে ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বাড়ানো সম্ভব। সংগঠন জানিয়েছে, একসময় রাজ্যের ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালের ক্যাম্প হতো দার্জিলিংয়ে। এখন তা হয় না। এই শিবির করলে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। ফোসিন কর্তারা বলেন, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের শিল্পনীতি থাকলেও ব্যবসার উন্নতির জন্য আলাদা বাণিজ্য নীতি নেই। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই নীতি তৈরি করার পাশাপাশি ব্যবসার প্রসারের জন্য পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীপদ গঠন করা উচিত। এছাড়া উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক উন্নতিতে রেল, সড়ক ও বিমান পরিবহণে একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব সংগঠন রেখেছে। পাশাপাশি রেলের জমিতে ৪০-৫০ বছর ধরে দোকান করে আসা ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের আগে সঠিক পুনর্বাসনের দিকটি বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন তারা রেখেছে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এলাকাকে স্মার্ট সিটিতে যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাবও ফোসিন তুলেছে।