কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভাঙা চাল এবং ভুট্টার মূল অংশ বের করে তা মদ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। আখের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এই পদ্ধতিই নেওয়া হয়েছে। ভূট্টার মূল অংশ নিয়ে নেওয়ার পর অবশিষ্ট কিছু পড়ে থাকে। যা সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। আবার সেটি অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা হয়। যেমন মুরগি কিংবা গোরুর খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগের অধ্যাপক দেবব্রত বেরা। ঠিক করেন, ওই বাতিল অংশকে কোনও খাবার তৈরির কাজে ব্যবহার করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখবেন। সেই মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শুরু হয়। ল্যাবরেটরিতে নানা গবেষণাও হয়। দেবব্রতবাবু বলেন, এই অবশিষ্ট অংশের মধ্যে হাই প্রোটিন, ফাইবার, প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। কিন্তু তা আদৌ খাবার যোগ্য কি না, তা নিয়েও দীর্ঘ গবেষণা হয়। কারণ এই অংশের মধ্যে এমন কিছুও রয়েছে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরীক্ষা না করে কিছু করা যাবে না। সেই সব অবশিষ্ট অংশকে শোধন করা হয়। বাদবাকি অংশ কয়েকটি প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
এদিকে, খাবারে মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকলে তা তিতকুটে হয়ে যায়। সেটি খাওয়াও যায় না। এই বিস্কুট তৈরি করতে গিয়ে তা ধরাও পড়ে। এই অংশটি স্বাদের পক্ষে ভালো নয়। তাই ওই অবশিষ্ট অংশ থেকে অতিরিক্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ কমিয়ে ফেলা হয়। যা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। দীর্ঘদিনের পরীক্ষা এবং গবেষণার পর শেষমেশ ধুসর রঙের এই বিস্কুট তৈরি করা হয়েছে। তবে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ কম-বেশির উপর বিস্কুটের রং নির্ভর করছে। এর মাত্রা বেশি হলে, গাঢ় রং হবে। আর তা কমানো হলে একটু ফ্যাকাসে হবে। এই সামগ্রী ব্যবহার করা হলে, ময়দার পরিমাণও কমে যাবে বলে দাবি ওই অধ্যাপকের। তাঁর মতে, ধরা যাক যদি বিস্কুট তৈরির জন্য ৫০ কেজি ময়দা লাগে, এই চাল ভাঙা এবং ভুট্টার অবশিষ্ট ব্যবহার করা হলে, ময়দার পরিমাণ অর্ধেক, অর্থাৎ ২৫ কেজি হয়ে যাবে।