উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এ ব্যাপারে আইআরসিটিসির (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন) জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং বলেছেন, ‘এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছি। একইসঙ্গে সবক’টি ট্রেনে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। পর্যায়ভিত্তিতে এই কাজ হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যেই ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে রেলের খাবারের প্যাকেটে কুইক রেসপন্স কোড লাগানোর কাজ সম্পন্ন করে দেওয়া হবে।’ ট্রেনের খাবারের প্যাকেটে কিউআর কোড লাগানোর বিশেষত্বটি কী? রেল জানিয়েছে, এই কোডের মধ্যে সংশ্লিষ্ট খাবার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপলোড করা থাকবে। যেমন— খাবারটি কবে তৈরি হয়েছে, কবে ‘প্যাকড’ হয়েছে, তার সবিস্তার তথ্য থাকবে। এমনকী আপলোড করা থাকবে খাবারটি তৈরি এবং প্যাকেটজাত করার নির্দিষ্টও সময়ও। ফলে প্যাকেটের মধ্যে থাকা খাবারটি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কি না, কোড স্ক্যান করেই তা জেনে নিতে পারবেন যাত্রীরা।
জানা যাচ্ছে, এই কিউআর কোডের মধ্যে আপলোড করা থাকবে খাবারটি আইআরসিটিসির কোন বেস কিচেনে তৈরি হয়েছে, সেই সম্পর্কিত তথ্যও। চাইলে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের সেই বেস কিচেনের খাবার তৈরির লাইভ ছবিও ট্রেনে বসেই দেখে নিতে পারেন যাত্রীরা। এবং তা দেখেই তাঁরা আঁচ করতে পারবেন, যে খাবারটি ট্রেনে বসে খাওয়া হচ্ছে, তা কতটা পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে কুকিং এবং প্যাকিং এরিয়া মিলিয়ে মোট ৭৯টি বেস কিচেনের লাইভ স্ট্রিমিং দেখার ব্যবস্থা করেছে আইআরসিটিসি। অর্থাৎ যাত্রীরা চাইলে তাঁদের খাবার কীভাবে তৈরি হচ্ছে, তা তো দেখতে পারবেনই, পাশাপাশি তৈরি হওয়ার পর সেই খাবার কতটা পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে ‘প্যাক’ করা হচ্ছে, তাও লাইভ দেখতে পারবেন। সাধারণ যাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, চলন্ত ট্রেনে আইআরসিটিসির দেওয়া খাবারের প্যাকেটে কিউআর কোড না মেলায় তাঁদের পক্ষেও এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে খাবার নিয়ে একাধিক অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে আসছেই। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সারা দেশের মোট ২৮টি ট্রেনের খাবারের প্যাকেটে কিউআর কোডের বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়েছে।