কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিকীকরণের এই প্রকল্প একবারে বাস্তবায়িত না হলে দু’দফায় তা করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক কিছু ব্যবস্থা করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে। সেই আয়ের টাকাকেই পুনরায় লগ্নি করে পরবর্তী দফার সম্প্রসারণের কাজে হাত দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধনেখালি ও চণ্ডীতলার দু’টি বাংলোকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী করতে চাই। এখানে আধুনিক অনুষ্ঠান বাড়ি বা ব্যাঙ্কোয়েট হলের মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। বর্তমান পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে প্রথমপর্বে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সংস্কার করা হবে। পরবর্তী ধাপে সেই আয়কে ব্যবহার করে আরও বৃহত্তর পরিকাঠামো গড়ে তুলব আমরা। তবে এবিষয়ে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব বাস্তুকারদের দেওয়া হয়েছে। আমরা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছি। ওই প্রকল্প কার্যকর হলে আমাদের আর্থিক ভিত্তিও মজবুত হবে।
জেলায় হুগলি জেলা পরিষদের মোট ১০টি বাংলো আছে। চালু বাংলোগুলিতে মূলত জেলা পরিষদের অফিস, গোডাউন আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামান্য কিছু থাকার ব্যবস্থা আছে। যা মূলত পরিদর্শনের সময় বা কিছু ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে থাকার জন্য ব্যবহার হয়। এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলিকেই এবার বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করে তোলার উদ্যোগ জেলা পরিষদ নিয়েছে। সম্প্রতি একটি পর্যটন কেন্দ্রকে লাভজনক করতে তার আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এবার বাংলো নিয়েও সেই পথে হাঁটছে জেলা পরিষদ।
জানা গিয়েছে, ১০টির মধ্যে দু’টি বাংলোকে প্রথমপর্বে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি ধনেখালিতে, অন্যটি চণ্ডীতলায়। এখানে আধুনিক সুবিধাযুক্ত ডবল বেডরুম, উৎসব অনুষ্ঠান করার সুবিধাযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণ করা হবে। সেইসঙ্গে বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। গ্রামীণ এলাকায় এ ধরনের উন্নত বাংলো তুলনায় কম খরচে ভাড়া দেওয়া গেলে তা শুধু জনপ্রিয়ই হবে না, জেলা পরিষদও আর্থিকভাবে লাভবান হবে।