মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
আইডিয়া ও ভোডাফোনের সংযুক্তিকরণের পর সেটি এখন একটাই সংস্থা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আদেশের জেরে এই সংস্থার মোট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মুকেশ আম্বানির জিও চালু হওয়ার পর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কুমারমঙ্গলম বিড়লার আইডিয়া এবং ব্রিটিশ টেলিকম সংস্থা ভোডাফোনের সংযুক্তি হয় গত বছর। এই সংযুক্তিকরণের পর এই যৌথ সংস্থা ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার লোকসানের মুখোমুখি হয়। যার মধ্যে সিংহভাগ ঋণ। ওই সংস্থা আদালতের দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি। স্পেকট্রাম চার্জ, লাইসেন্স ফি বাবদ বিগত ১৪ বছর ধরে বকেয়া জরিমানা এই বিপুল অঙ্কে দাঁড়িয়েছে। এয়ারটেল এবং ভোডাফোন উভয় সংস্থাই সরকারের কাছে আবেদন করেছে সহায়তার। বিড়লা বলেছেন, সরকার নিজেই স্বীকার করেছে যে এই টেলিকম সেক্টর অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। সুতরাং তিনটি বেসরকারি সংস্থা এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল সরকার। বস্তুত অর্থনীতি যে সঙ্কটে, সেটা মনে করিয়ে দিয়ে বিড়লা বলেছেন, এখন সরকারকে আরও বেশি করে আর্থিক প্যাকেজের কথা ভাবতে হবে। কারণ টেলিকম সেক্টরের সঙ্গে আরও অন্য শিল্পক্ষেত্রও যুক্ত।
আজ যে ভাবে ভোডাফোন বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা সেটা সরকারের পক্ষেও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, এয়ারটেল ও জিওর পাশাপাশি আইডিয়া-ভোডাফোনের বিপুল কর্মসংস্থানে তীব্র ধাক্কা লাগবে যদি ভোডাফোন বন্ধ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দেশজুড়ে পুনরায় বিরাট কর্মহীনতা তৈরি হবে। আর ভোডাফোনের মতো আন্তর্জাতিক মানের ব্রিটিশ টেলিকম সংস্থা এভাবে বন্ধ হয়ে গেলে গোটা বিশ্বজুড়ে প্রভাব পড়বে ভারতের লগ্নি মানচিত্রে।