দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
এই রেকগুলিতে এতদিন এসি-আলো-ফ্যান চালানোর জন্য ছিল পাওয়ার কার। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘এন্ড অন জেনারেশন’। সেই ব্যবস্থার বদলে সম্প্রতি তিনটি রেকে ‘হেড অন জেনারেশন’ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে এসি-আলো-ফ্যানের জন্য বিদ্যুৎ টানা হচ্ছে ওভারহেড থেকে। পূর্ব রেলের কর্তাদের বক্তব্য, এই ব্যবস্থায় পাওয়ার কার না থাকায় জ্বালানি খরচ বেঁচে যায়। শুধু তাই নয়, এই ব্যবস্থায় পাওয়ার কারের জায়গায় যাত্রীবাহী রেক যুক্ত করার সুযোগ থাকে। তাতে আরও বেশি যাত্রীকে পরিষেবা দেওয়া যায়।
পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, এমনিতেই চিরাচরিত রেকের বদলে এলএইচবি রেক আরও বেশি শক্তিশালী এবং অধিক যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত। এই ধরনের রেকে যাত্রীদের সফর আরও বেশি সুরক্ষিত থাকে। তার উপরে রেকের দু’টি পাওয়ার কারের জায়গায় যাত্রীবাহী রেক যুক্ত করা যায়। এতে কেবল ডিজেলের খরচ বাঁচছে তাই নয়, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও এই ব্যবস্থা ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে।
এই ব্যবস্থা রূপায়ণ করছে অন্যান্য জোনও। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে এখনও পর্যন্ত ২২টি ট্রেনে এই ব্যবস্থা রূপায়ণ করা হয়েছে। তাতে গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪.৭৪ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও চারটি ট্রেনে এই ব্যবস্থা লাগু করতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
লাইনের কাজের জন্য ট্রেন নিয়ন্ত্রণ: উত্তর-মধ্য রেলে লাইনের কাজের জন্য ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আপ শিয়ালদহ-আজমের এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে। ২০ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ডাউন লাইনের এই ট্রেনটি বাতিল করা হয়েছে। আপ-ডাউন আনন্দবিহার এক্সপ্রেসটিও বিভিন্ন দিনে বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপ-ডাউন হাওড়া-যোধপুর এক্সপ্রেসকে একাধিক দিনে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।