বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে একটাই স্বস্তি, আলুর দাম কিছুটা কমেছে। জ্যোতি আলু খুচরো বাজারে ২০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে। শীতের সব্জির দাম অবশ্য বেশ চড়াই রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর প্রভাবে দুই ২৪ পরগনা জেলায় সব্জির যা ক্ষতি হয়েছে, তার প্রভাব এখন বাজারে পড়ছে। কয়েকদিন আগেও কলকাতার পাইকারি বাজারে ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা কেজি। রবিবার তা ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে।
রাজ্য সরকারের ‘সুফল বাংলার’ স্টলে পেঁয়াজের দাম বেশ কিছুদিন ধরে ৫৯ টাকায় বাঁধা আছে। কৃষি বিপণন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা করে ভর্তুকি দিয়ে সুফল বাংলায় পেঁয়াজ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। কারণ ৭০ টাকার আশপাশে পেঁয়াজ কিনে স্টলে সরবরাহ করতে হচ্ছে। স্থায়ী ও চলমান অস্থায়ী মিলে রাজ্যে সুফল বাংলার একশোর কিছু বেশি স্টল আছে। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাফেড একসময় সুফল বাংলার জন্য পেঁয়াজ সরবরাহ করলেও এখন তা বন্ধ। ফলে পাইকারি বাজার থেকেই সরকারকে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরো বাজারের দাম অনেকটাই বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর কারণও আছে। পাইকারি বাজার থেকে কেনা বস্তার মধ্যে বেশ কিছু খারাপ পেঁয়াজ থাকছে। সেটা ফেলে দিতে হচ্ছে বা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাছাড়া চড়া দামের জন্য মানুষ পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। গৃহস্থ বাড়ি ছাড়াও হোটেল-রেস্তরাঁ থেকে তেলেভাজার দোকান— সর্বত্রই পেঁয়াজের ব্যবহার প্রচুর কমে গিয়েছে। অধিকাংশ তেলেভাজার দোকানে তো পেঁয়াজি ভাজাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রেস্তরাঁর স্যালাড থেকে উধাও হয়েছে পেঁয়াজ। ফলে বিক্রিও অনেকটাই কমে গিয়েছে।
মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ ভারতে একাধিক দফায় অসময়ের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মহারাষ্ট্রের নাসিক ও সংলগ্ন এলাকার চাষিরা একাধিকবার পেঁয়াজের চাষ করেন। বর্ষার সময় অতিবৃষ্টিতে মাঠে যে পেঁয়াজ ছিল, তা নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির জন্য পরবর্তী চাষ শুরু করতে দেরি হয়ে গিয়েছে। ফলে অক্টোবরের শেষে যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার কথা, তা আসতে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পেরিয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নিলেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই কম।