বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ডিজেলের দাম বাড়লে আমজনতার উপর তার প্রভাব বেশি পড়ে। বাস, ট্যাক্সি, লরি প্রভৃতি ডিজেলে চলে। ডিজেলের দাম বাড়লে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি ও পণ্য পরিবহণের খরচ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বাস মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবি তোলেন। পণ্য পরিবহণের খরচ বাড়লে তার প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায়। আমজনতার অসন্তুষ্টি থেকে রেহাই পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নির্দেশে’ কি ডিজেল নিয়মিত মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে মুক্ত রয়েছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। মূলত উচ্চবিত্তরা গাড়িতে পেট্রল ব্যবহার করেন। তাঁদের উপর মূল্যবৃদ্ধির কোপ পড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দামে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাম্প্রতিককালে হয়নি। ফলে পেট্রলের দাম বেশি বৃদ্ধি হওয়া স্বাভাবিক নিয়মে উচিত নয়। তাহলে কি পেট্রলের দাম বেশি হারে বাড়িয়ে ডিজেলের দাম একটুও না বাড়ানোর ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে তেল সংস্থাগুলি? পেট্রলের দাম বৃদ্ধির ফলে বর্ধিত কর থেকে লাভবান হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রলিয়াম ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার সেন জানিয়েছেন, পেট্রলের দাম নিয়মিত বাড়লেও ডিজেলের দাম যে মোটামুটি স্থিতিশীল আছে, সেটা তাঁদেরও নজরে আছে। আমজনতাকে খুশি রাখতে এটা করা হতে পারে। তবে পেট্রলের দাম বাড়লেও মধ্যবিত্ত, এমনকী নিম্নবিত্তদের উপর আর্থিক বোঝা বাড়ে। টু হুইলার তো নিম্নবিত্তরা ব্যবহার করেন। তা চালানোর খরচ তো বেড়ে যায়। আর ডিজেলের দামও আগামী দিনে বাড়বে না, এমন গ্যারান্টি নেই। কিন্তু দু’টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পেট্রপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় নিয়ে এলে অনেকটা দাম কমে যেত। বিভিন্ন মহলের দাবি সত্ত্বেও তা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে ডিজেল মূল্যবৃদ্ধি থেকে ছাড় পেলেও আমজনতার আরও একটি প্রয়োজনীয় পেট্রপণ্য কেরোসিনের দাম নিয়মিত বাড়িয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেশনের মাধ্যমে সরবরাহ করা কেরোসিনের দাম মাসে দুই দফায় লিটারে ৫০ পয়সা করে বাড়ছে। কলকাতায় এখন রেশনে প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ৩৭ টাকা ২০ পয়সা। নিয়মিত মূল্যবৃদ্ধি এক বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকায় এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত।