পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিল্প গড়তে গেলে শাসকদলকে ন্যায্য খরচের পাশাপাশি ‘উপরি’ দিতে হয়, এই অপবাদ নতুন নয়। সেই পরিস্থিতি যে আর নেই, সেটা বোঝাতে এর আগে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তিনিও একাধিক শিল্পসভায় জানিয়েছিলেন, এখানে শিল্প গড়তে কোনও বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে না। সেই মনোভাবই সম্প্রতি ফিরে আসে অমিতবাবুর কথায়। ফের সেই দাবি করতে বণিকসভার মঞ্চকে হাতিয়ার করেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি ফ্লিপকার্টকে জমি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। কল্যাণীর হরিণঘাটায় ওই সংস্থাকে পণ্য মজুতকরণ ও অন্যান্য কাজে জমির ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য। সেই জমি অবশ্য কিনে নিতে হয়েছে ওই সংস্থাকে। সেকথা মনে করিয়ে অমিতবাবু বলেন, ফ্লিপকার্ট হরিণঘাটায় যে পরিকাঠামো তৈরি করছে, সেখানে প্রথম ধাপে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। সেখানে কর্মসংস্থান হওয়ার কথা সাড়ে ছ’হাজার মানুষের। ধাপে ধাপে তারা বিনিয়োগ বাড়াবে, সেখানে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ কাজ পাবেন। রাজ্য সরকার ওই জমির ছাড়পত্র ইতিমধ্যেই দিয়েছে। দমকলের ছাড়পত্রও পেয়ে গিয়েছে তারা। সেখানে চাষিদের থেকে জমি কিনেছে ওই সংস্থা। সরকার শুধু তাদের মধ্যে মধ্যস্থতার কাজটি করেছে। বণিকসভার অনুষ্ঠানে শিল্পপতিদের উদ্দেশে অমিতবাবু বলেন, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন, এক টাকাও বাড়তি খরচ করতে হয়নি তাদের। শুধু তারাই নয়। ফ্লিপকার্টের মতো আমাজনও ৬.২ লক্ষ বর্গফুট জায়গায় তাদের পরিকাঠামো গড়ছে। লজিস্টিক পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে ডানকুনি, দুর্গাপুর, তাজপুর, মালদহ ও শিলিগুড়িতে। সেখানে মোট ১০ হাজার ৫০০ কোটি বিনিয়োগ হওয়ার কথা। কর্মসংস্থান হতে পারে ১ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষের। এই যেখানে শিল্পের উত্তরণ, তা থেকেই বোঝা যায় সরকারের শিল্প নিয়ে সদিচ্ছা, বোঝাতে চেয়েছেন অমিতবাবু। শিল্পমহলকে তিনি বলেন, কোনও খারাপ ধারণা নিয়ে থাকবেন না। বাস্তবতা ও তথ্যে বিশ্বাস করুন, তারপর এগিয়ে আসুন।