কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
সোমবার এক অনুষ্ঠানে ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকারি অ্যাসোসিয়েশনের সিইও আরিফুল ইসলাম বলেন, ময়দার উপর নির্ভর করে গোটা বেকারি শিল্প চলছে। অথচ তার গুণমান নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই সরকারের। ময়দাতে কোনও ব্যাচ নম্বর হয় না। ফলে কী ময়দা কিনছি আমরা, তার ঠিক-ঠিকানা থাকে না। এদিকে আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ শুধু বেকারি শিল্পেই আমাদের থেকে ঢের এগিয়ে গিয়েছে। তারা অস্ট্রেলিয়া থেকে অতি উচ্চমানের ময়দা কেনে। মালয়েশিয়া থেকে বনস্পতি আনে। দুধ আনে নিউজিল্যান্ড থেকে। তাতে উৎকৃষ্ট মানের পাউরুটি তৈরি হয়। ফলে বেকারি শিল্পের গুণগত মানে তাদের সঙ্গে আমরা এঁটে উঠতে পারি না। বাংলাদেশের সঙ্গে যাতে এই শিল্পে আমরা গাঁটছড়া বাঁধতে পারি, তার জন্য একাধিকবার দিল্লিতে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজের কাজ হয়নি।
সমস্যাটি যে গুরুতর, তা মেনে নিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স কো-অর্ডিনশেন কমিটি’র জেনারেল সেক্রেটারি শেখ ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, পাঞ্জাবে যে গম উৎপন্ন হয়, তা বিশ্বের সেরা গমের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। কিন্তু তার সবটুকুই বাইরের দেশে চলে যায়। আমরা সেই গম আনতে পারি না বেকারি শিল্পের জন্য। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি থেকে যে ময়দা আসে, তার জন্য আবার গাড়িভাড়া মেটাতে হয় অনেকটাই বেশি। ফলে পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়ে। কিন্তু সেই প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করছি আমরা। গোটা দেশে যে দামে পাউরুটি বিক্রি হয়, তার চেয়ে অনেক সস্তা এখানকার পাউরুটি।
বেকারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রায় চার হাজার বেকারি আছে রাজ্যে। কিন্তু দূষণ এড়িয়ে মেশিনে পাউরুটি তৈরির কারখানার সংখ্যা বড়জোর ৫০টি। এই বিষয়ে সচেতনতার অভাব যেমন রয়েছে, তেমনই পরিকাঠামোর খামতিও আছে বলে মেনে নিয়েছেন তাঁরা। এরাজ্যে এখনও সিংহভাগ জায়গায় মাটির ভাঁটিতে পাউরুটি তৈরি হয়। তার থেকে যে দূষণ হয়, তা রোধ করতে ধোঁয়াকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু গ্যাসের চুল্লিতে পাউরুটি তৈরি করতে হলে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ দরকার। ন্যায্য দামে সেই গ্যাস পাওয়া এখনও কঠিন, জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের সঙ্গেও যোগোযোগ রাখা হচ্ছে, জানিয়েছেন তাঁরা।