উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিকে এবারও ভাইফোঁটার স্পেশাল থালি পাওয়া যাচ্ছে। দাম ৪০০ থেকে এক হাজার টাকা। সাবেক ও আধুনিক ঘরানা মিশিয়ে সেখানে অন্তত সাত বা ১১ রকম মিষ্টি থাকবে। অ্যাক্রিলিক, মাটি ও কাঁসার থালায় মিষ্টি সাজিয়েই ক্রেতাকে বিক্রি করছে তারা। আলাদা করে কোনও থালার ব্যবস্থা করতে হবে না বোনেদের। কর্ণধার সুদীপ মল্লিকের কথায়, আমরা অনলাইন সংস্থাগুলির অর্ডার এই সময় নেওয়া বন্ধ করে দিলেও, আমাদের নিজস্ব অনলাইন ডেলিভারি চালু রাখছি। যে সব বোন বা দিদি কলকাতার বাইরে আছেন, তাঁরা আমাদের কাছে অর্ডার দিচ্ছেন অনলাইনে। খাজা-গজার মতো মিষ্টির পাশাপাশি থাকবে বেকড কালাকাঁদের মতো আধুনিক মিষ্টি।
কে সি দাশে আলাদা করে নতুন মিষ্টির সৃষ্টি হয়নি এবার। কিন্তু শুভদীপ সন্দেশের চাহিদা ভাইফোঁটার সময় বরাবরই তুঙ্গে থাকে, জানালেন এখানকার কর্ণধার ধীমান দাশ। তাঁর কথায়, একেবারে প্রদীপের মতো দেখতে সন্দেশটি ক্ষীরে মেশানো। এবার খুব ভালো চাহিদা রয়েছে ব্ল্যাক কারেন্ট সন্দেশ আর রসগোল্লার। তাঁরা নিজেরা অনলাইনে কোনও ব্যবসা না করলেও, খাবার পরিবেশনকারী অ্যাপনির্ভর সংস্থাগুলির তরফে ভালো বিক্রি হয় কে সি দাশের কয়েকটি শোরুম থেকে, জানিয়েছেন ধীমানবাবু। তিনি বলেন, ভিআইপি রোড বা মিষ্টি হাবের শোরুমে অন্তত ২০ শতাংশ মিষ্টির বাজার নিয়েছে অনলাইন। ভাইফোঁটায় তা আরও বাড়বে।
তবে ভাইফোঁটার সময় অনলাইনে মিষ্টি বিক্রি একেবারে বন্ধ করে দেয় গিরিশচন্দ্র দে ও নকুড়চন্দ্র নন্দী। এখানকার অন্যতম কর্তা পার্থ দে বলেন, পুনের একটি সংস্থার মধ্যমে আমরা সারা বছর অনলাইনে মিষ্টি বিক্রি করি। কিন্তু এই সময়টায় এত বেশি মিষ্টির চাহিদা থাকে, দোকানের ভিড়ই সামাল দেওয়া যায় না। পার্থবাবুর কথায়, এ বছর নকুড় তিনটি নতুন সন্দেশ এনেছে। এই তালিকায় আছে স্যাঁকা আমন্ড দিয়ে তৈরি বাদামি সন্দেশ। উপরে কেশর সন্দেশের পরত, ভিতরে হরেক বাদামের পুর দিয়ে তৈরি কেশর উৎসবও নজর কাড়ছে। আর কেশর কাঁচাগোল্লা। পার্থবাবুর কথায়, আমাদের কাঁচাগোল্লা কিন্তু আলাদা পাকে তৈরি। ছাঁচ আর নাম বদলে আমরা সন্দেশের রকমফের করি না।
সেন মহাশয়ে থাকছে সারদা, মধুশ্রী বা শ্রাবণীর মতো সন্দেশ। চকোলেটের সঙ্গে পেস্তা ও হরেক বাদাম মিশিয়ে তৈরি হয় সারদা, যার আকৃতি পদ্মের মতো। মধুশ্রীতে জাফরান আর চকোলেটের মিশেল, চেহারায় গোল। তেকোণা শ্রাবণীতে স্ট্রবেরি ও আনারসের সুগন্ধ। কর্ণধার সন্দীপ সেনের কথায়, আমরা উৎসব-পার্বণে দু’টি বিশেষ ভাজা মিষ্টি তৈরি করি, যেগুলির নাম হিমাদ্রি ও মাতৃভোগ।