উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
সিইএসসি সূত্রের খবর, কোথায় কতটা বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে এবং তা থেকে কত বিল আদায় হচ্ছে, তা নিয়মিত খতিয়ে দেখা হয়। আর তা দেখতে গিয়েই মোমিনপুরের ধুরপাড়া এলাকায় বড়সড় গরমিল নজরে আসে। সিইএসসির এক কর্তার কথায়, বিষয়টি নজরে আসার পরই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি চক্রের মূল পাণ্ডা মহম্মদ রুস্তম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করেছে। বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ বণ্টনের জেরে ওই এলাকায় মাসে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হচ্ছিল। কীভাবে এই চক্রটি চলত? সূত্রের খবর, ওই এলাকায় একটি বাড়ির মিটার বক্সের ঠিক আগে একটি জায়গা থেকে বিদ্যুৎ চুরি করা হতো। তাই মিটারে তার কোনও প্রভাব পড়ত না। তবে সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে যে তার ব্যবহার করা হয়েছিল, তা অত্যন্ত নিম্নমানের। নিম্নমানের তারের জেরে দুর্ঘটনার প্রবল আশঙ্কা ছিল। সেই তারের দামও গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হতো।
বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে কত টাকা নেওয়া হতো? সিইএসসি সূত্রের খবর, বিদ্যুতের দামের নানা রেট ঠিক করা ছিল। যেমন, বাড়িতে এসি না থাকলে নেওয়া হতো মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে। বাড়িতে একটি এসি থাকলে নেওয়া হতো ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। দু’টি এসি থাকলে বিদ্যুতের দাম দিতে হতো ১৫০০ টাকার বেশি। যেসব বাড়িতে বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ দেওয়া হতো, তাদের ঘরে যে সিইএসসি’র সংযোগ নেই, তেমন নয়। সেই সংযোগ বন্ধ রেখে বেআইনিভাবে নেওয়া বিদ্যুৎ সুযোগ বুঝে ব্যবহার করা হতো। সিইএসসির এক আধিকারিক বলেন, আমরা চাই বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকরা সচেতন হোন। অভিযুক্ত ব্যক্তি এর আগেও বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। সেই সময়ে অন্য বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বণ্টনের ব্যবস্থা করেছিল সে।
কী বলছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়? উদ্বেগের সঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে ওঠা জরুরি। মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ হলে কোম্পানিগুলির ক্ষতি কমবে। তাতে অসংখ্য গ্রাহকেরই সুবিধা হবে।