নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: টিভি দেখার খরচে স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ নিয়েছিল টেলিকম নিয়ামক সংস্থা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ট্রাই। চলতি বছরের গোড়ায় সেই নিয়ম কার্যকর হতে শুরু করে। দর্শক যে চ্যানেল দেখবেন, শুধুমাত্র তারই জন্য পয়সা মেটাবেন, এই নিয়ম চালু হওয়ার পর সার্বিকভাবেই টিভি’র দর্শক বেড়েছে বলে দাবি করল জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড। সোমবার শহরে এসে সংস্থার চিফ মার্কেটিং অফিসার প্রত্যুষা আগরওয়াল বলেন, গত বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় এই বছরের প্রথম তিন মাসে দেড় শতাংশ দর্শক বেড়েছে। অন্যদিকে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের সঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া সেপ্টেম্বরের তুল্যমূল্য বিচারে পে-চ্যানেল দর্শকের হার পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। হিন্দিভাষার অনুষ্ঠানের দর্শক বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। প্রত্যুষার ব্যাখ্যা, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ট্রাইয়ের নতুন নিয়ম কার্যকর হয়। প্রথমদিকে সাময়িকভাবে ওই নিয়ম চালু হওয়ার বিষয়ে সমস্যা হলেও, পরবর্তীকালে তা কেটে যায়। তাঁদের হিসেব, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ৭৪ শতাংশ দর্শক নিজের পছন্দের চ্যানেল বেছে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ২৫ শতাংশ দর্শক অবশ্য ‘বেস্ট ফিট প্ল্যান’ অর্থাৎ কেবল অপারেটরের তৈরি করা প্যাকেজই নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে গত ডিসেম্বর মাসের সঙ্গে সেপ্টেম্বরের দর্শকের সংখ্যার তুল্যমূল্য বিচারে দেখা যাচ্ছে, তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাইয়ের আনা নয়া নিয়মে গোটা সম্প্রচার শিল্পেরই যে সুবিধা হয়েছে, তা জানিয়েছেন প্রত্যুষা।
অন্যদিকে, জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের পূর্বাঞ্চলের ক্লাস্টার হেড সম্রাট ঘোষ বলেন, ট্রাইয়ের নিয়ম চালুর আগে এবং পরে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে জি-এর দর্শক সবসময়ই প্রথম স্থানে থেকেছে। আঞ্চলিক বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলি যে সংখ্যক দর্শক দেখেন, তার মধ্যে ৫২ শতাংশ দর্শক ‘জি বাংলা’ দেখেন। গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন সম্রাটবাবু। তিনি বলেন, মুনাফার নিরিখে ‘জি’ যতটা এগিয়েছে, তার ৭০ থেকে ৯০ ভাগ এসেছে আঞ্চলিক ভাষার চ্যানেলগুলি থেকেই। তবে সম্রাট ও প্রত্যুষা বলেন, দেশে, বিশেষত দক্ষিণ ভারতে যেখানে দর্শক সপ্তাহে গড়ে ২৫ ঘণ্টা টিভি দেখেন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কম টিভি দেখেন দর্শক। এখানে সপ্তাহে মাথা পিছু টিভি দেখার হার সপ্তাহে গড়ে ১৯ ঘণ্টা।