উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
সোনার গয়নায় হলমার্কিং ব্যবস্থা এখনও বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তা বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রক। তার আওতায় থাকা মানক সংস্থা ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের ডিরেক্টর জেনারেল সুরিনা রাজন জানিয়েছেন, যেহেতু ভারত ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, সেখানে কোনও পণ্যের উপর কিছু শর্ত বাধ্যতামূলক করতে হলে, সেক্ষেত্রে ডব্লুটিও’কে নোটিস দিতে হয়। এরপর একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য বা বিরোধিতা আসছে কি না, তাতে নজর রাখা হয়। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকার ডব্লুটিও’র কাছে নোটিস দিয়েছে, জনিয়েছেন ডিরেক্টর জেনারেল। পাশাপাশি চলতি মাসের গোড়াতেই কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষামন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান জানিয়েছেন, হলমার্কিং বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রক।
সুরিনা রাজন জানিয়েছেন, তাঁরা হলমার্কিংকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য কৌশল অবলম্বন করতে চান। তার ভার দেওয়া হয়েছে বম্বে আইআইটি’কে। সেখানেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে হলমার্কিংয়ের নকশা করা হবে। এমনভাবে সেই কাজ করা হবে, যেখানে কোনও হলমার্কিং সেন্টার যদি গয়নায় হলমার্ক বসায়, বিআইএস কর্তারা দপ্তরে বসে তাতে নজরদারি করতে পারবেন। হলমার্কিং শেষ হলে একটি কোড দেবে বিআইএস, যা থেকে গয়নাটির বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। কীভাবে কাজ করবে সেই নকশা? হলমার্কিং সেন্টারগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব হলমার্কিং সেন্টারের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হর্ষদ আজমেড়ার কথায়, দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জেনেছি, তাতে যেভাবে ব্যাঙ্কে ‘কোর ব্যাঙ্কিং’ পরিষেবা চালু আছে, খানিকটা সেই ধাঁচেই হলমার্কিং হবে। অর্থাৎ কোথায় কী হচ্ছে, তা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করা সম্ভব হবে। হলমার্কিংয়ের পর যে কোড গয়নায় দেওয়া হবে, সেটি ব্যবহার করে মোবাইল থেকেই হলমার্কিংয়ের খুঁটিনাটি জানতে পারবেন ক্রেতা। হর্ষদ আজমেড়ার কথায়, এখন সরকার অনুমোদিত হলমার্কিং সেন্টার দেশে প্রায় ৮৫০টি। রাজ্যে আছে ৯০টি। কিন্তু বহু সেন্টার আছে, যারা অনুমোদন ছাড়াই হলমার্ক দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিশুদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। নয়া ব্যবস্থায় সেই সমস্যা সম্পূর্ণ মিটবে বলেই মনে হয়।
সম্প্রতি ক্রেতাসুরক্ষা আইনের যে সংশোধন হয়েছে, তাতে হলমার্কে যতটা কারচুপি হয়েছে, তার দ্বিগুণ সোনার দাম ফেরত দিতে হবে ক্রেতাকে। অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের হলমার্কের জায়গায় যদি বাস্তবে ২১ ক্যারেট সোনা দেওয়া হয়, তাহলে এক ক্যারেটের যত দাম, তার দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে। হর্ষদ আজমেড়ার কথায়, সাধারণত এক ক্যারেটের তফাতে সোনার দামের চার শতাংশ তফাৎ হয়। এক্ষেত্রে সোনার দামের আট শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহক।