গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উপহার এরাজ্যে আসার খবর আগেই পৌঁছে গিয়েছিল আম বাঙালির ঘরে ঘরে। তবে কবে সেই ইলিশ পাতে পড়বে, তানিয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গোনার কাজ শুরু হয়েছিল। রবিবার দুপুরেই বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে ইলিশ ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্র সংক্রান্ত নানান টাল বাহানার কারণে লরি ভর্তি ২৫টন ইলিশ সীমান্তে এসে থমকে রয়েছে। সন্ধ্যায় কাগজপত্রের জটিলতা মিটলেও রাত হয়ে যাওয়ায় জিরো পয়েন্টে ওইসব লরি বর্তমানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ওই ইলিশ সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে ঢুকবে। দুপুরের মধ্যে ওই ইলিশ হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যাবে। বিকেলের বাজারে বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মার ইলিশ কিনতে পারবেন ক্রেতারা। সোমবার সকালে শুধু নয়, ওইদিন বিকেলেও আরও ৫০টন ইলিশ এই রাজ্যে ঢুকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী ১০ তারিখের সময় সীমার মধ্যে পুরো ৫০০টন ইলিশ দ্রুত রাজ্যে ঢোকানোর জন্য ব্যবসায়ী মহলে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত,২০১২ সাল থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ভারতের তৎকালীন ভারত সরকার ও রাজ্য সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও মান ভাঙাতে পারেনি ওপার বাংলার মান ভাঙাতে পারেনি। এতদিনের বাঁধন শারদীয়ার প্রাকাল্লে আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
শুল্ক দপ্তরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, কিছু কাগজপত্রের সমস্যার কারণে ইলিশ এসেও জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোমবার সকালে ওই ইলিশ ভর্তি লরি রাজ্যের মাটিতে ঢুকবে। এছাড়া সোমবার বিকেলে আরও ইলিশ ঢুকবে। হাওড়া হোলসেল ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তথা ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, সোমবার বিকেলে থেকেই বাজারে পদ্মার ইলিশ পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার থেকে বাজারে ইলিশের আমদানি বাড়বে।