ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ক্রেতা প্রথমবারের সুবিধাটি নেননি। তিনি ২০১৭ সালের ২৮ জুন গাড়িটির সার্ভিস করাতে যান। তিনি দাবি করেন, যেহেতু তিনি এক বছরের মধ্যে এসেছেন, তাই তিনি ফ্রি সার্ভিস পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সুবিধাটি পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু ডিলার তাঁকে জানিয়ে দেয়, তিনি তা পাবেন না। কারণ গাড়িটি তাঁকে বিক্রি করা হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ! তাই তাঁর দ্বিতীয় সুবিধাটির সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১৭ সালের ১ এপ্রিলেই। আকাশ থেকে পড়েন ক্রেতা। তিনি বলেন, গাড়িটি তিনি মোটেই ৩১ মার্চ কেনেননি। তিনি তা কিনেছেন তার প্রায় ন’মাস পরে। কিন্তু সেসব কথা বা কাগজপত্রের প্রমাণ কিছুতেই মানতে চায়নি ওই গাড়ি ডিলার। তারা বলে, তাদের নিজস্ব সিস্টেমে স্পষ্ট দেখাচ্ছে, ডিসেম্বরে নয়, গাড়িটি বিক্রি হয়েছে তার আগের মার্চে। তাহলে কি আগে বিক্রি হওয়া কোনও গাড়ি ফের ‘ব্র্যান্ড নিউ’ বলে তাঁকে বিক্রি করে দিল ওই গাড়ি সংস্থা?
সেই অভিযোগ নিয়েই কলকাতা জেলা ক্রেতা আদালতের দ্বিতীয় ইউনিটে মামলা করেন ওই ক্রেতা। আদালত তাঁকে বলে, গাড়িটি তাঁকে সেকেন্ড হ্যান্ড হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে, তা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু ক্রেতা তা করতে পারেননি। অন্যদিকে গাড়ি সংস্থা ও ডিলার জানায়, গাড়ি বিক্রির তারিখের ব্যাপারে তাদের নিজেদেরই ভুল ছিল। সেক্ষেত্রে আদালতে আসার আগেই তারা ক্রেতাকে সেই ভুলের মাশুল দিতে চেয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, এক বছর আরও বেশি ওয়্যারেন্টি দেওয়া হবে। কিন্তু ক্রেতা তা গ্রহণ করেননি। তাঁকে মিউজিক সিস্টেম দেওয়ারও অনুরোধ করা হয়। সেই অফারও ফিরিয়েছেন ক্রেতা।
আদালত অবশ্য জানিয়েছে, কোনওভাবেই গাড়ি সংস্থা তাদের দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না। তাদের পরিষেবায় খামতি যে আছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেই কারণেই এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।