পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
১৯৯৭-৯৮ সাল থেকে গাড়ি বিক্রির পাইকারি পরিসংখ্যান নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে এসআইএএম। এদিন তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত আগস্টে যাত্রীবাহী গাড়ি, দু’চাকা এবং বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি হয়েছে ১৮ লক্ষ ২১ হাজার ৪৯০টি। যেখানে গত বছর এই সময় বিক্রি হয়েছিল ২৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৪৩৬টি। অর্থাৎ, ২৩.৫৫ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে গাড়ি। পাশাপাশি, গত বছরের আগস্টে যেখানে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৯৮টি যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছিল, সেখানে এ বছরের আগস্টে বিক্রি হয়েছে ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫২৪টি। অর্থাৎ, পতন হয়েছে ৩১.৫৭ শতাংশ।
একইভাবে গত জুলাইয়েও সার্বিকভাবে গাড়ি বিক্রি ১৮.৭১ শতাংশ কমে হয়েছে ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার ১৪৮টি। যেখানে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সেই পরিমাণ ছিল ২২ লক্ষ ৪৫ হাজার ২২৩টি। যা কিনা গত ১৯ বছরের সবথেকে কম বলে জানিয়েছিল এসআইএএম। সেখান থেকে পতন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ বছরের সর্বোচ্চ। এবং সবথেকে বেশি পড়েছে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি। সেই নিরিখে সবথেকে খারাপ হাল মারুতি সুজুকির। ৩৬.১৪ শতাংশ কমেছে তাদের যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি। এরপরে রয়েছে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা (৩১.৫৮ শতাংশ), হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া লিমিটেড (১৬.৫৮ শতাংশ)।
ঠিক তেমনই ইউটিলিটি ভেহিকলের বিক্রি গত বছরের আগস্টের তুলনায় ২২.২৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ১৪ হাজার ১৯৬টি। যেখানে গত বছরের আগস্টে বিক্রি হয়েছিল ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩০৪টি গাড়ি। স্কুটার ও মোটর সাইকেল বিক্রি কমেছে ২২ শতাংশ। মপেডের বিক্রি কমেছে ২১ শতাংশ। এদিকে, গাড়ি শিল্পের এই দুর্দিনের মধ্যে তাদের পাঁচটি প্ল্যান্ট সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্যিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থা অশোক লেল্যান্ড। চাহিদা কমের কথা তুলে ধরে এদিন তারা জানিয়েছে, ‘বিভিন্ন জায়গার প্ল্যান্টগুলিতে সেপ্টেম্বরের বিভিন্ন দিনে কোনওরকম কাজ হবে না। পণ্যের চাহিদায় ভাটার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’
অশোক লেল্যান্ডের এন্নোর প্ল্যান্টে ১৬ দিন, হোসুর ১, ২ এবং সিপিপিএ প্ল্যান্ট পাঁচ দিন, আলোয়ার ও ভান্দারায় ১০ দিন এবং পন্থনগরের প্ল্যান্টে ১৮ দিন কর্মবিরতি পালন করা হবে। অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার প্রভাব আটকাতে মোদি সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তিনি বলেন, ‘আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। অথচ, ভালো পারফর্ম করা দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছি আমরা। আর্থিক মন্দা কাটাতে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ, উৎপাদন ও অটোমোবাইল শিল্পকে স্বস্তি দেওয়ার মতো সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।’