বিএনএ, বহরমপুর: পুজোর মরশুমে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে ‘ডিসকাউন্ট ধামাকা’ দিচ্ছে খাদি। রীতিমতো বহুজাতিক শপিং মলগুলির কায়দায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং দিয়ে তারা প্রচার শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১সেপ্টেম্বর থেকে ১০অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে খাদির সামগ্রী কিনলে ১৫শতাংশ ছাড় পাবেন ক্রেতারা। এছাড়া ১০হাজার টাকা বা তার বেশি টাকার কেনাকাটা করলে ৫০০টাকার ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ৩০হাজার টাকার খাদির পোশাক কিনলে দু’হাজার টাকা ছাড় থাকছে। ৭৫হাজার টাকার জিনিসপত্র কিনলে ৭হাজার টাকার ছাড় দেওয়া হবে। ২৫হাজার টাকার কেনাকাটার উপর ১হাজার ৫০০ এবং ৫০হাজার টাকার কাপড় বা অন্য কোনও কিছু কিনলে ৪হাজার টাকার ছাড় দিচ্ছে এই সংস্থা। কেউ ১লক্ষ টাকার জিনিসপত্র কিনলে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় মুর্শিদাবাদের মসলিনের কাপড় রাজ্যজুড়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। কিন্তু এখন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বাজারে উন্নতমানের কাপড় নিয়ে আসায় মুর্শিদাবাদের বস্ত্র অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। যদিও জেলায় খাদির স্টল থেকে এখনও মসলিনের কাপড় বিক্রি হয়। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, খাদি কাপড়, জামা ছাড়াও মধু, ঘি সহ বিভিন্ন ধরনের পাচক বিক্রি করে। কিন্তু পুজোর মরশুমে তারা বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করে আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। বিগত বছরগুলিতে পুজোর মরশুমে বহরমপুরের বিপণি থেকে দিনে ১০-১৫ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছে। পুজোর ১০-১৫দিন আগে বিক্রি আরও কিছুটা বেড়েছিল বলে আধিকারিকদের দাবি। সেই সময় দিনে ৩০হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। যদিও পুজোর প্রায় এক মাস আগে মঙ্গলবার খাদির বিপণি কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটিয়েও কোনও গ্রাহকের দেখা মিলল না। বিপণন কেন্দ্রে কাপড় বোনার প্রস্তুতি রয়েছে। এক কর্মী বলেন, অনেক আগে খাদির সামগ্রী ভালো বিক্রি হতো। কিন্তু এখন খুব কম ক্রেতা আসেন। খাদির দ্রব্যের দাম ভালোই রয়েছে। তার থেকে কম দামে ভালো মানের পোশাক ক্রেতারা পেয়ে যাচ্ছেন। সেকারণে পুজোর মরশুমেও স্টল ফাঁকা থাকছে। অথচ এই সময় বেসরকারি দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুজোর মরশুমে বিক্রি বাড়াতে কয়েক বছর ধরেই খাদি প্রচার শুরু করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে তারা স্টলও করছে। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। বহরমপুরের খাদি গ্রামীণ বিপণির আধিকারিক দেবর্ষি রায় বলেন, কেনাকাটার উপর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত দপ্তরের। সব জায়গাতেই তা দেওয়া হচ্ছে। ১সেপ্টেম্বর থেকে ১০অক্টোবর পর্যন্ত ছাড় চলবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই ডিসকাউন্টের মেয়াদ আরও কয়েক দিন বাড়ানো হতে পারে। তবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।