ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এই ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট সরকারের আমলের সঙ্গে তৃণমূল জমানার উন্নয়নের তুলনা টেনে পরিসংখ্যান পেশ করেন তিনি। এখন ৮৪ হাজার ৫৬৪ জন তাঁতশিল্পীকে নিয়ে ১৭৬টি ক্লাস্টার গড়া হয়েছে। ২০১১ সালে ক্লাস্টারের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৮টি। গত আট বছরে এই সংখ্যা ছ’গুণ বেড়েছে। ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে তাঁতবস্ত্র বিক্রি হয়েছে ২৫২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার। অন্যদিকে, ২০১০-’১১ আর্থিক বছরে তন্তুজের বিক্রির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫৫ কোটি টাকা। তখন তন্তুজ লোকসান করেছিল ৫৫ কোটি টাকা। সেখানে ২০১৮-’১৯ সালে তন্তুজ অপারেটিং লাভ করেছে ১৪ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।
অমিতবাবু বিধানসভায় জানিয়েছেন, ১ লক্ষ ২ হাজার তন্তুবায়কে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৮ হাজার তাঁতশিল্পীকে নতুন পিটলুম বা ফ্রেমলুম দেওয়া হয়েছে। তাঁত শিল্পীদের জন্য ছ’ হাজার ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার তাঁতঘর তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিষ্ণুপুরে ১৮০০ তাঁতশিল্পীর জন্য বালুচরি শাড়ির পুনরুজ্জীবন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
তাঁতশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। রাজ্যে চারটি তাঁতের হাট চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় লক্ষ তাঁতশিল্পী উপকৃত হচ্ছেন। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে বালুচরি শাড়ি বিপণনের একটি বিশেষ শোরুম চালু হয়েছে। বালুচরি, শান্তিপুরী ও ধনেখালি শাড়ির জিআই তকমা মেলায় বিপণনে সুবিধা হবে। এই প্রসঙ্গে অমিতবাবু জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট ২০টি পণ্য এখনও পর্যন্ত জিআই তকমা পেয়েছে। এর মধ্যে রসগোল্লা, জয়নগরের মোয়া, তুলাইপঞ্জি ও গোবিন্দভোগ চাল, ফজলি ও হিমসাগর আম প্রভৃতি আছে। আরও তিনটি পণ্য জিআই পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। বিধানসভা ভবনে নিজের ঘরে শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজ্যে উৎপাদিত হস্তশিল্প সামগ্রী কেনার ব্যাপারে বড় কয়েকটি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। বিদেশে হস্তশিল্প সামগ্রী রপ্তানির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আমেরিকায় বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলনে রাজ্য থেকে হস্তশিল্পীরা গিয়ে সেখানে তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। এতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।