গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিকল্পনা ও মূলধনী খাতে সরকারি খরচ ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে জিডিপি বেড়েছে। অমিতবাবু বলেন, শুধু বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ঘোষিত প্রকল্পের বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ ২০১৭-১৮ সালে ছিল ২৬ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। ’১৮-১৯ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। পরিকল্পনা খাতে সরকারি ব্যয় এক বছরের মধ্যে ২৩ শতাংশ বেড়ে ৭১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা হয়েছে। এই সময়ে মূলধনী ব্যয় ২৫ শতাংশ বেড়ে ২৩ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা হয়েছে।
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী অর্থমন্ত্রীর জিডিপি বৃদ্ধির দাবি প্রসঙ্গটি টেনে বিধানসভায় বলেন, সরকারের আর্থিক অবস্থা যেখানে এতটাই ভালো হয়েছে, সেখানে সরকারি কর্মীদের ডিএ কেন বকেয়া রয়েছে? সুজনবাবু আরও বলেন, চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি করা হলেও অনেক দপ্তর তা কার্যকর করছে না। মনোজবাবু বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তোলেন। অর্থমন্ত্রী অবশ্য বিরোধীদের তোলা এই প্রসঙ্গগুলি নিয়ে সভায় কিছু বলতে চাননি। বিরোধীরা ডিএ বৃদ্ধি প্রভৃতি প্রসঙ্গ তোলার পরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মূল প্রশ্নের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। অর্থমন্ত্রী এর উত্তর দেবেন না। অমিতবাবু বলেন, বিধায়কদের অধিকার আছে বলার। অর্থমন্ত্রীর কাজ শুনে যাওয়া ও বিবেচনা করা। তিনি শুনে নিয়েছেন।
রাজ্যে এমএসএমই-র উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সমীর জানা বিধানভায় প্রশ্ন করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, এই ক্ষেত্রে উন্নতির অন্যতম কারণ ক্লাস্টার কর্মসূচির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। একই জায়গায় একই ধরনের ছোট, মাঝারি, ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ক্লাস্টার তৈরি করা হয়। ২০১১ সালে যেখানে মাত্র ৪৯টি ক্লাস্টার ছিল, সেখানে এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫২০টি। এর পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণ আরও বেশি পরিমাণে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কিং কমিটির বৈঠকে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে তা ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে কি না, সরকার তার উপর নজরদারি চালায়। এর ফলও মিলেছে বলে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ২০১০-১১ আর্থিক বছরে এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণ ছিল ৭২৩৬ কোটি টাকা। সেটা ১৮-১৯ আর্থিক বছরে বেড়ে ৫৬ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা হয়েছে। এব্যপারে বাংলা দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে।
শিল্পমন্ত্রী অমিতবাবু জানিয়েছেন, ছোট ক্লাস্টারের পাশাপাশি ক্ষেত্র ভিত্তিক মেগা ক্লাস্টার বা পার্ক করায় এমএসএমই-র প্রসার হচ্ছে। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্স, হাওড়ার জগদীশপুরে হোসিয়ারি ও ডোমজুড়ে জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি পার্ক করা হয়েছে। লেদার কমপ্লেক্সে আরও ৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে বলে শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান এখানে হবে। বানতলায় এখনই দুই লক্ষ ২০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। ছোট শিল্পের প্রসারের জন্য জেলা ও রাজ্য ভিত্তিক সম্মেলন ও শিল্পীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুফলও মিলছে।