ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সরকারি সূত্রের দাবি, চলতি মরশুমে রাজ্যে প্রায় ৫ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছিল। বাংলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায়, চাষিরা সেই সময় তিন থেকে চার টাকা কেজিতে তা বিক্রি করে দিয়েছে। পাশাপাশি বিরাট পরিমাণ পেঁয়াজ সেই সময় বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, অসমে রপ্তানি করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, পেঁয়াজের দরবৃদ্ধি গোটা দেশের কাছে স্পর্শকাতর ইস্যু। বছরকয়েক আগে এই সব্জির ঝাঁঝ এতটাই বেশি ছিল যে কেন্দ্রের অটলবিহারী বাজপেয়ি এবং দিল্লির শীলা দীক্ষিতের সরকার পড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এখনই বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করেন কমলবাবু। তাঁর কথায়, পাইকারি বাজারের সঙ্গে দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এখনই ইতিবাচক পদক্ষেপ না করলে পুজোর সময় খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দর উঠবে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, কেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স দীর্ঘ ছ’মাস বৈঠক করল না? এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক আমলা বলেন, ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই বৈঠক অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। বৈঠকের দিনক্ষণ মূলত মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর স্থির করে। পরবর্তী পর্যায়ে তা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানো হয়। মার্চ মাসে সর্বশেষ বৈঠকের পর থেকে পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ জানানো হয়নি। তাই এতদিন বৈঠক হয়নি। সম্প্রতি দেশের দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভাগে অতিবৃষ্টির জেরে বহু রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যার জেরে ভিন রাজ্য থেকে আমদানিকারী আনাজপাতির দাম ক্রমশ বাড়ছে। আসন্ন উৎসবের মরশুমে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের কাছে। অবিলম্বে এ নিয়ে নবান্ন পদক্ষেপ শুরু করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক আমলা।