পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কিন্ত যে পরিমাণ সব্জি বিদেশে রপ্তানি করা যেত, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। নবান্নের বৈঠকে এই প্রসঙ্গগুলি উঠেছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। যদিও কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরও পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
বিদেশে সব্জি রপ্তানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের মতে, কলকাতা থেকে সরাসরি বিদেশে যাওয়ার বিমানের সংখ্যা কম হওয়া এক্ষেত্রে বড় বাধা। বিদেশের বাজার ধরার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিদ্বন্দ্বী হল বাংলাদেশ। দুই জায়গা থেকে একই ধরনের সব্জি বিদেশে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে বিদেশের অনেক বেশি গন্তব্যে যাওয়ার বিমান রয়েছে। বিদেশগামী বিমানের সংখ্যাও অনেক বেশি। ঢাকা থেকে বিমানে সব্জি পাঠানোর খরচও তুলনামূলকভাবে কম। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের সব্জি কম দামে বিদেশের বাজার ধরতে পারছে। কলকাতা থেকে সরাসরি বিদেশে যাওয়ার বিমান খুব কম। সিঙ্গাপুর, দুবাই, দোহা, ব্যাঙ্কক প্রভৃতি যেসব জায়গায় যাওয়ার সরাসরি বিমান আছে, বেশিরভাগ সব্জি সেখানেই যায়। সরাসরি বিমান না থাকায় ইউরোপে সব্জি পাঠানোর সুযোগ কম। খুব কম পরিমাণ সব্জি বিমান পরিবর্তন করে ইউরোপে পাঠানো হচ্ছে।
বিদেশগামী বিমান কম হওয়ার পাশাপাশি বিমানবন্দরে আরও পরিকাঠামোর সমস্যা আছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। বিমানে তোলার আগে যেখানে সব্জি জমা হয়, সেখানে জায়গা কম হওয়ার কারণে কাজে অসুবিধা হয়। বিমানে ওঠানোর আগে সব্জির প্যাকেট এক্সরে পরীক্ষা করা হয়। এখানে একটিমাত্র এক্সরে মেশিন রয়েছে। সেটিও খারাপ থাকার কারণে মাঝে মাঝে সব্জি বিমানে ওঠানোই যায় না। কিন্তু ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে যাওয়ার জন্য বিমানের খরচ রপ্তানিকারককে বহন করতে হয়। রপ্তানি করার আগে সব্জি পরীক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয়। এই প্রক্রিয়া বিমানবন্দরেই হয়। এই সার্টিফিকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় রপ্তনিকারীদের।
বাংলাদেশ ছাড়াও দেশের কয়েকটি রাজ্যে বিদেশে ফল, সব্জি প্রভৃতি পাঠানোর আগে প্যাকেটে ভর্তি করার জন্য সরকারি উদ্যোগে প্যাকিং হাউস করা হয়েছে। অনেক বছর আগে বারাসতে সরকারি উদ্যোগে একটি প্যাকিং হাউস করা হয়েছিল। কিন্তু ওই বাড়িতে এখন সব্জি প্যাকিং হয় না। রপ্তানিকারীরা নিজেদের উদ্যোগে প্যাকিং হাউস তৈরি করে কাজ চালাচ্ছেন। প্যাকিং হাউস তৈরির বিষয়টিও নবান্নের বৈঠকে উঠেছিল।