কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বেদান্ত গোষ্ঠীর চেয়ারম্যন অনিল আগরওয়াল যেমন এই বাজেটকে ‘প্রগতিশীল’ তকমা দিয়েছেন। আবার আরপিজি এন্টারপ্রাইজেস-এর চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কার মতে, এই বাজেটে সার্বিক বৃদ্ধির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। অনিলের কথায়, এই বাজেট সবদিক থেকেই প্রগতিশীল। কারণ, স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা, জল, জনকল্যাণের মতো মূল বিষয়গুলিতে বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। অন্যদিকে, হর্ষ গোয়েঙ্কা ট্যুইটারে লেখেন, ‘অর্থমন্ত্রী সীতারামন ঐতিহ্যশালী ব্রিফকেসের পরিবর্তে লাল কাপড়ে মোড়া বাজেট নথি নিয়ে সংসদে প্রবেশ করেছিলেন। এরই মাধ্যমে ভারতের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা হল। যেখানে বাজেটে নিছক কিছু সংখ্যা নিয়ে কথা বলার পরিবর্তে সার্বিক বৃদ্ধির ব্লুপ্রিন্ট দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করে ট্যুইট করেন বায়োকনের চেয়ারম্যান কিরণ মজুমদারও। তিনি লেখেন, ‘একজন মহিলা অর্থমন্ত্রীকে এমন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেওয়া বাজেট পেশ করতে দেখে একজন মহিলা উদ্যোগপতি হিসেবে আমার খুবই গর্ব হচ্ছে।’
গৃহঋণে কর ছাড়ের বিষয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, তাতে এই শিল্পে ব্যবসা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। রিয়েল এস্টেট শিল্পের শীর্ষ গোষ্ঠী ক্রেডাই-এর চেয়ারম্যান জক্সয় শাহ জানান, রিয়েল এস্টেট শিল্পকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে এই বাজেট। মানুষের মধ্যে বাড়ি-ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়বে। তবে, এই সুবিধা পেতে বাড়ির দাম ৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হওয়ার যে শর্ত দিয়েছে সরকার, তা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে ক্রেডাই চেয়ারম্যানের। তাঁর দাবি, এই প্রকল্পে কোনও সীমা না রেখে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে ক্রেতা-বিক্রেতা দু’পক্ষই লাভবান হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের ১৭টি পর্যটন ক্ষেত্রকে ঢেলে সাজানোর যে পরিকল্পনার কথা এদিন ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, তাতে পর্যটন শিল্পে ব্যাপক উন্নতি ঘটবে বলেই আশা প্রকাশ করেছে পর্যটন সংস্থাগুলি। মেক মাই ট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা তথা গোষ্ঠীর সিইও দীপ কালরা বলেন, ‘ভ্রমণ এবং পর্যটন শিল্পের দৃষ্টিতে এই বাজেট স্বস্তিদায়ক। আগামী পাঁচবছর এই ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নতিতে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা খরচের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।’ বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে নাবার্ড-এর চেয়ারম্যান এইচ কে ভানওয়ালা জানান, এবারের বাজেটে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে যেমন কৃষকদের চাষের খরচ কমবে, তেমনই টেকসই কৃষিকাজের প্রতিও তাঁরা আরও বেশি করে আকর্ষিত হবেন।
এছাড়াও সিআইআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অ্যাসোচেমের প্রেসিডেন্ট বিকে গোয়েঙ্কা, অ্যাপোলো হাসপাতাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান প্রতাপ রেড্ডি, ফিকি প্রেসিডেন্ট সন্দীপ সোমানি এবং ডালমিয়া গোষ্ঠীর প্রধান পুনিত ডালমিয়াও এই বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে, সকলেই যে বাজেটের পক্ষেই সওয়াল করেছেন এমন নয়। কেউ কেউ অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। এবারের বাজেটে ফার্মা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য ঘোষণা হয়নি। এমনকী, এই ক্ষেত্রের সার্বিক বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোনও স্পষ্ট প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করেছেন ড. রেড্ডিস ল্যাবরেটরিজ-এর চেয়ারম্যান সতীশ রেড্ডি। তবে, বাজেটে স্টার্ট-আপ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বাড়তি জোর দেওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন তিনি।