কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বস্ত্রশিল্পকে চাঙ্গা করতে কী কী দাবি শিল্পমহলের? প্রথমেই তারা আনছে শিল্পের ইনসেনটিভ বা উৎসাহমূলক নগদ প্রাপ্তির প্রসঙ্গ। তাদের বক্তব্য, শিল্পের গতি আনতে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য একটি স্কিমের আওতায় টাকা দেয় কেন্দ্র। টেকনোলজি আপগ্রেডেশন ফান্ড স্কিমের আওতায় প্রায় ন’হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে শিল্পসংস্থাগুলির, এমনটাই দাবি। ধুঁকতে থাকা শিল্পগুলিকে চাঙ্গা করতে ওই টাকা দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক মন্ত্রক, চায় তারা। প্রতিযোগিতার বাজারে হাল ধরতে সরকার সুতোর উপর টেকনোলজি মিশনের উদ্যোগ নিক, দাবি শিল্পমহলের।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পরপর চার বছর বস্ত্র রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারত। কিন্তু ২০১৮ সালে সেই পরিস্থিতি বদলে দেয় জার্মানি, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশ। ভারত চলে আসে পাঁচ নম্বর স্থানে। কীভাবে ফেরানো যাবে পুরনো গরিমা? শিল্পমহল বলছে, একাধিক সরকারি ভর্তুকি শিল্পের উপর এমনভাবে আরোপিত হচ্ছে, তা আদতে সমস্যায় ফেলছে ব্যবসায়ীদের। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তা বাধা সৃষ্টি করছে। আবার হাতে তৈরি সুতো থেকে প্রস্তুত করা জামাকাপড়ের যে বাজার বিদেশে রয়েছে, সমস্যা রয়েছে সেখানেও, বলছে শিল্পমহল। একদিকে যেমন প্রতিযোগিতামূলক দামে সুতোর জোগানে সমস্যা হচ্ছে, তেমনই জিএসটি’র হার নিয়েও সন্তুষ্ট নয় শিল্পমহল। জিএসটি রিফান্ড সমস্যায় নগদ জোগানে ভুগছে ওই শিল্প। তাই রপ্তানি মার খাচ্ছে। সমস্যাগুলি না কাটলে রপ্তানির বাড়বাড়ন্ত অসম্ভব, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের দাবি, আরও বেশি করে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের পথে হাঁটুক কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ব্রিটেনের মতো দেশগুলিতে বস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে যেভাবে থাবা বসাচ্ছে বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান, তাতে অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতকে। সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই।
তুলো চাষিদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এখনও ঘোষণা করেনি সরকার, এমনটাই অভিযোগ শিল্পমহলের। বাজারে সুতোর দাম আচমকা কমে গেলে চাষিদের কিছু করার থাকে না। ব্যবসায়ীরাও সেই দায়ভার নিজেদের কাঁধে নেন না। তাই সরকারের উচিত বাজার স্থিতিশীল রাখতে সুতোয় মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস বা ন্যূনতম সহায়ক ঘোষণা করা, বলছে শিল্পমহল। তাদের দাবি, তুলো চাষি, ছোট সংস্থা এবং বৃহৎ শিল্পগুলিকে একযোগে সহায়তা করতে জাতীয় ফাইবার পলিসি ঘোষণা করুক সরকার। এসবের পাশাপাশি গোটা বস্ত্রশিল্পের ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষার দিকটিও যাতে দেখা হয়, সেই কথাও বলছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথায়, এখনও পর্যন্ত এই শিল্পের ৬০ শতাংশ অসংগঠিত ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আছে। শিল্পের স্বার্থেই ইএসআই সহ অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষায় শ্রমিক ও কর্মীদের আনা জরুরি। সম্প্রতি এই দাবিগুলিকেই কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রকের সামনে আনতে চলেছে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স।