কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ১৩ মে রাতে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ মারফত তাঁরা জানতে পেরেছেন, ১৫ মে থেকে ঘোজাডাঙায় ম্যানুয়াল পদ্ধতি বদল করে ইডিআই ব্যবস্থা চালু হবে। ১৫ মে চালু হলেও সেদিন কোনও গাড়ি বাংলাদেশে রপ্তানি হয়নি। ১৬ মে মাত্র ৪৩টি গাড়ি রপ্তানি হয়েছে। ১৭, ১৮ ও ১৯ মে ছুটি ছিল। গত ২০ মে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৯০টি গাড়ি। পরিকাঠামোর অভাবে ইডিআই ব্যবস্থা এত স্লো হয়ে গিয়েছে যে বেসরকারি পার্কিংয়ে প্রায় পাঁচ হাজার গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের দিক থেকে এই ক’দিনে মাত্র ২৫-৩০ টি গাড়ি ঢুকেছে। বাংলাদেশের দিকেও প্রায় ২০০ গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ন্যূনতম পরিকাঠামোর ব্যবস্থ করা হয়নি। সেই সঙ্গে এই নতুন পদ্ধতির জন্য যাঁদের বসানো হয়েছে, তাঁদের ঠিকমতো প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। এভাবে চললে পাঁচ হাজার গাড়ি রপ্তানি হতে দু’মাস লেগে যাবে। তাই অন্তত, ২০ দিন ম্যানুয়াল পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হোক। ততদিনে বন্দর খালি হয়ে যাবে। একই সঙ্গে পরিকাঠামোর যে ঘাটতি রয়েছে সেটাও ঠিক করা হোক। কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হোক। তাহলে এই সমস্যা মিটবে।
এ ব্যাপারে ঘোজাডাঙা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পি টি ভুটিয়া বলেন, আমাদের কোনও অফিসার ইডিআই ব্যবস্থায় কাজ করেননি। এটা আমাদের কাছেও নতুন। তাও আমরা বেশকিছু অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চেষ্টা করছি। একটু স্লো আছি। কিন্তু, প্রতিদিন গতি বাড়ছে। কতদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হতে পারে? উত্তরে তিনি বলেন, এখানে লাগাতার লোডসেডিং রয়েছে। আমাদের সিস্টমে ইউপিএস ব্যাকআপ দিচ্ছে না। জেনারেটর চালু করারও সময় পাচ্ছি না। সার্ভারও ডাউন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে দেরি হয়ে যাচ্ছে। এটা স্বাভাবিক করার জন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ চেষ্টা করছে। একটু সময় তো লাগবেই।