উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এই রায় বের হতেই হাওড়ায় বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানির কর্মী ও অফিসারদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। স্বস্তিতে রয়েছেন জেলার বাসিন্দারাও। কারণ এত বড় একটি সরকার অধিগৃহীত সংস্থা বন্ধ হয়ে গেলে আগামী প্রজন্মের কাছ তা ক্ষতিকর হতে পারত। কিন্তু, ট্রাইব্যুনাল কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেওয়ায় খুশি সব মহলই।
বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অনুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি হাওড়ার একটি গর্বের জিনিস। কলকাতার বহু ঐতিহ্যবাহী নির্মাণ এই কারখানার মাধ্যমেই হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী ও প্রণব মুখোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন এই কারখানাকে রেল মন্ত্রক অধিগ্রহণ করে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার এই কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা তার প্রতিবাদে ন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করি। তার ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে, তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায় বলেন, বিজেপি সরকার এই কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল। ট্রাইব্যুনাল সেই চক্রান্তকে ভেস্তে দিয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার বার্ন স্ট্যান্ডার্ডকে পুনরজ্জীবনের জন্য বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করুক।
আইএনটিইউসি’র বার্ন স্ট্যান্ডার্ড ইউনিটের সভাপতি অসিত মিত্র বলেন, এই কারখানাকে বাঁচাতে আমরা অনেক আন্দোলন করেছি। বিজেপি পরিচালিত সরকার এই কারখানা বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু, সমস্ত কর্মী একযোগে তার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল। ট্রাইব্যুনাল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোয় আমরা খুশি।
২০১০ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই কারখানাকে রেলমন্ত্রকের অধীনে আনা হয়। কিন্তু, পরবর্তীকালে এই কারখানাকে অলাভজনক সংস্থা বলে দেখিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তার বিরুদ্ধে প্রথমে ন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চে আবেদন করেন কয়েকজন অফিসার ও কর্মী। কিন্তু, কলকাতা বেঞ্চ তা বহাল রাখে। এরপর দিল্লিতে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা আবেদন করেন। সোমবারই দিল্লি থেকে ট্রাইব্যুনাল এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা বলেছে।