উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
টাটা স্পঞ্জ আয়রনের ৫৪.৫ শতাংশ অংশীদারি আছে টাটা স্টিলের হাতে। সম্প্রতি কলকাতার সংস্থা উষা মার্টিনের হাতে থাকা স্টিল ব্যবসা কিনে নেয় টাটা। সেখানে উষা মার্টিনের ঋণাত্মক হয়ে যাওয়া কার্যকরী মূলধন সহ বেশ কিছু বিষয়ে বোঝাপড়ার পর মোট ৩৪৬৮ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকায় ইস্পাত ব্যবসা কিনে নেয় টাটা। এর ফলে এখন টাটা স্পঞ্জ আয়রনের হাতে এসেছে জামশেদপুরে ১০ লক্ষ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন স্টিল অ্যালয় কারখানা, একটি লৌহ আকরিক খনি এবং একটি কয়লা খনি। এই খনির পাশেই একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা ছিল উষার। এই ইস্পাত ব্যবসা কেনার পর পরিচালন পর্ষদে সিদ্ধান্ত হয়, ওড়িশা থেকে কলকাতায় স্পঞ্জ আয়রন ব্যবসার হেড অফিস স্থানান্তর করা হবে।
জানা গিয়েছে, যেহেতু উষা মার্টিনের ইস্পাত ব্যবসা কিনে নিয়েছে স্পঞ্জ আয়রন, সেহেতু নামেও বদল আনা হবে। তার নাম টাটা স্টিল লং প্রোডাক্টস লিমিটেড হিসেবেও উঠে আসতে পারে। গোটা দেশে টাটাদের যেক’টি ব্যবসা আছে, তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত তিনটি সংস্থা পরিচালিত হয় কলকাতা থেকে। তারা হল টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস (যা আগে টাটা টি হিসেবে পরিচিত ছিল), টাটা মেটালিকস এবং টিনপ্লেট কোম্পানি। এই মুকুটে এবার নতুন পালক স্পঞ্জ আয়রন সংস্থাটিও।
টাটা মোটরসের ন্যানো প্রকল্প সিঙ্গুর থেকে সরে যাওয়ার পর টাটাদের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূলের। পরে তারা এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসায় সেই সম্পর্কে কিছুটা উন্নতি হয়। এখানে সুবিধামতো লগ্নি করার বিষয়ে আগ্রহ দেখান টাটার শীর্ষকর্তারা। কিন্তু বড় লগ্নি সেই অর্থে হয়নি। কিন্তু টাটা স্টিলের স্পঞ্জ আয়রন ব্যবসা এ রাজ্য থেকে পরিচালিত হওয়া যে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ, তা মানছেন সকলেই।