শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
মেট্রোর বাইরের অংশে গরিবদের জন্য ফ্ল্যাটের কার্পেট এরিয়া ধার্য হয়েছে ৯০ বর্গমিটার। পাশাপাশি ৪৫ লক্ষ টাকার বেশি দামের ফ্ল্যাট হলে ক্রেতাকে জিএসটি দিতে হবে ৫ শতাংশ। আবার দাম কম হলেও কার্পেট এরিয়া মেট্রো শহরে যদি ৬০ বর্গমিটার এবং নন-মেট্রোয় ৯০ বর্গমিটারের বেশি হয়, তাহলেও দিতে হবে ৫ শতাংশ জিএসটি। এগুলি সবই নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ কমপ্লিশন সার্টিফিকেট হাতে পাওয়া ফ্ল্যাটের জন্য কোনও জিএসটি লাগে না। সেই ফ্ল্যাট কিনতে স্রেফ স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন জিএসটি হার কার্যকর হবে।
গরিবরাও যাতে সহজে ফ্ল্যাট কিনতে পারেন এবং একইসঙ্গে রিয়েল এস্টেট মার্কেট চাঙ্গা হয়, তারই লক্ষ্যে আজকের বৈঠকের আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে চিঠি দিয়েছিলেন জিএসটি কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য পশ্চিমবঙ্গের অর্থ এবং শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। গরিবদের জন্য বাড়ির জিএসটি যেখানে গোড়ায় ছিল ১৮ শতাংশ, তা কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছিল জিএসটির মন্ত্রিগোষ্ঠী। কিন্তু গরিবদের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মতো সেটিকেও কমিয়ে এক শতাংশ করার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন অমিত মিত্র।
চিঠির পর রবিবার বিজ্ঞান ভবনে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে সরব হন অমিতবাবু। অন্য রাজ্যগুলিও সমর্থন করে। সেই মতো ভোটের আগে গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ জেটলি দাবি মানতে বাধ্য হন। যদিও নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের জিএসটি স্রেফ কমালেই চলবে না, বর্তমান কাঠামোয় আরও ছ’টি জটিলতা রয়ে গিয়েছে বলেই বৈঠকে উল্লেখ করেন অমিত মিত্র। যার মধ্যে হাওলা, কালো টাকা এবং ইনসপেক্টররাজের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলেই অমিতবাবুর দাবি। তবে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আজ আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়নি লটারি নিয়েও। ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের অর্থদপ্তরের অফিসাররা কেন্দ্রের সঙ্গে বিষয়গুলি আলোচনা করবে। তারপর রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।