বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এখন রাজ্যের হিমঘরগুলিতে ৭০ লক্ষ টনের কিছু বেশি পরিমাণ আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, সরকার চাষিদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টন আলু কিনবে। এবার রাজ্যে আলুর উৎপাদন ১ কোটি ২০ লক্ষ টনে পৌঁছতে পারে, সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। হিমঘর থেকে আলু সাধারণত মে মাস থেকে বের হতে শুরু করে। তার আগে মাস দুয়েক হিমঘরে না ঢোকা নতুন আলু বাজারের চাহিদা মেটায়। এবার উৎপাদন বেশি হওয়ার জন্য চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হিমঘরে আলু রাখার জায়গা পাওয়ার জন্য তৎপরতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। হিমঘরে আলু রেখে পরে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করার চেষ্টা তাঁরা করবেন। এখনও বেশি পরিমাণে নতুন আলু মাঠ থেকে উঠতে শুরু করেনি। কিন্তু যে আলু উঠছে, তার দাম বেশ কম। তিন টাকা কেজি দরের আশপাশে এখন চাষিরা আলু বিক্রি করছেন। রাজ্য সরকার সাড়ে পাঁচ টাকা দামে আলু কিনবে। সরকার কিনতে নামলে খোলাবাজারে দাম কিছুটা বাড়বে বলে আশা করছেন অনেকেই। সরকার যে পরিমাণ আলু কিনবে বলে ঠিক করেছে, তার তুলনায় অনেক বেশি আলু উৎপাদন হবে। তাহলেও সরকারের কেনার ফলে বাজারে দামের উপর প্রভাব পড়তে পারে। গত বছর চাষিরা আলুর ভালো দাম পেয়েছিলেন। প্রথম থেকেই আট টাকা কেজি দরের আশপাশে আলু বিক্রি হয়েছিল।
আজ, সোমবার আলু কেনা সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। ওই বিজ্ঞপ্তি জারি হলে কী পদ্ধতিতে এবং কাদের মাধ্যমে সরকার আলু কিনবে, সেটা জানা যাবে। সরকারি সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, বিশেষ শিবির খুলে চাষিদের কাছ থেকে আলু কেনা হবে। রাজ্যের অনেক ব্লকে সরকারি কিষাণ বাজার চালু হয়েছে। সেখানে অবশ্য ধান কেনার স্থায়ী কেন্দ্র চলছে। পয়লা মার্চ থেকে রাজ্যের হিমঘরগুলি চালু হতে শুরু করার পর আলু ঢুকতে শুরু করবে।