কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরুর আগেই কেন এই সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ মিটিয়ে নেওয়া হল না? রেল সূত্রের খবর, ট্রেনের যাত্রাপথে ফেন্সিংয়ের কাজ একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বড়জোড় বছরখানেকের মধ্যেই ট্রেন ১৮ এর যাত্রাপথ ঘিরে দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি স্টেশনে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রেন কেমন চলছে, তা চাক্ষুষ করতে গোটা যাত্রাপথে ছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বি কে যাদব এবং রেলের অন্য আধিকারিকেরা। উদ্বোধনী যাত্রাতেও ট্রেনটির গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ১২৯.৬ কিলোমিটার। তার দুদিন পরে আজ, রবিবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রাও শুরু হয়। কিন্তু প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রাতেও এহেন সেমি হাইস্পিড ট্রেন-১৮ প্রায় দেড় ঘণ্টা লেট করে বারাণসী পৌঁছেছে।
রেলমন্ত্রকের ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি) রাজেশ ডি বাজপেয়ি জানিয়েছেন, মূলত কুয়াশার কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকলে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালানোই যায় না। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, কুয়াশার কারণে ট্রেন যাতে লেট না করে, সেই প্রযুক্তির ব্যবহার ট্রেন ১৮ এর ক্ষেত্রেও হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কুয়াশার কারণে এই ট্রেনকে আজ এত সমস্যায় পড়তে হল কেন, প্রত্যাশিতভাবেই সেই প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে কার্যত ধাক্কা খেয়েছিল ট্রেন-১৮ এর সফর। শুধুমাত্র ভোটের চমক দিতেই উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালিয়ে দেওয়া হল কি না, এখন এই প্রশ্নই তুলছে সংশ্লিষ্ট মহল।