বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে মাইনিংয়ের কাজে গোটা বিশ্বে এক নম্বর স্থানে রয়েছে পোল্যান্ড। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (বিজিবিএস)-এর সূত্র ধরে রাজ্যে আরও অনেক ব্যবসা-বিনিয়োগের সঙ্গেই দেউচা-পাচামি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল ইউরোপের এই দেশটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিস্তর বৈঠক ও আলোচনার পর পোল্যান্ডের সংস্থাটি সম্মত হয়েছে পাথরের স্তর ভেদ করে দেউচা-পাচামি থেকে কয়লা তুলতে। প্রসঙ্গত, টানা তিন বছরের টালবাহনার পর গত বছরের জুন মাসের গোড়ায় কেন্দ্র সরকার যখন এই কোল ব্লকের ভার রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন ডব্লুবিপিডিসিএল-এর হাতে তুলে দেয়, সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি উল্লেখ করে দেউচা-পাচামি ঘিরে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান এবং কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন মমতা। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, কয়লা উত্তোলন শুরু হলে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেউচা-পাচামিতে কয়লা উত্তোলনে পোল্যান্ডের সংস্থার অংশগ্রহণের যে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে চলেছে, তার ভিত তৈরি হয়েছিল গত ২০১৮ সালের বিজিবিএস’এ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই যার যৌথ রচয়িতা ছিলেন পোল্যান্ডের সহকারী বিদেশমন্ত্রী মারেক মেগিওরস্কি। মেগিওরস্কির সঙ্গেই সেবার এসেছিলেন খনির কাজে যুক্ত বিখ্যাত জেএসডব্লু ইননাওয়াকজে এবং সেন্ট্রাল মাইনিং ইনস্টিটিউটের মতো সংস্থার প্রতিনিধিরা। বিজিবিএস-এর মঞ্চ ছাড়াও শহরে বণিকসভার আলোচনাচক্রেও মেগিওরস্কি দেউচা-পাচামি থেকে কয়লা তোলার বিষয়ে তাঁদের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। এরপর ভারতে নিযুক্ত পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আদাম বুরাকাউস্কিও এই বিষয়ে তাঁদের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন কলকাতায় এসেই। নবান্নের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এবারের বিজিবিএস-এ পোল্যান্ডের মাইনিং কারবারিদের সঙ্গে ফের কথাবার্তা বলে বিষয়টিকে আরও পাকাপোক্ত করেছে রাজ্য।
নবান্নের সূত্রটি জানিয়েছে, দেউচা, পাচামি, হরিণশৃঙ্গ আর দেওয়ানগঞ্জের মতো ২১টি গ্রাম রয়েছে গোটা কোল ব্লক জুড়ে। কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরুর আগে সেখানকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু হলে, শুধু ওই সমস্ত গ্রাম সমেত গোটা বীরভূম জেলারই নয়, আর্থ-সামাজিক অবস্থা পাল্টাবে গোটা রাজ্যের।