পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
রেল জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ আর্থিক বর্ষে ওয়েটিং লিস্টে থাকা ৭১.১৫ শতাংশ যাত্রীর টিকিট আরএসি/কনফার্মড হয়েছে। একইভাবে পরের তিন বছরেও সেই হার যথাক্রমে ৭১.৯০ শতাংশ, ৭১.১৯ শতাংশ এবং ৭১.১৮ শতাংশ। অর্থাৎ অঙ্কের হিসেবে ২৯ শতাংশ টিকিট কনফার্মড না হওয়ায় যাত্রীরা টিকিট কেটেও যাত্রা করতে পারেননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটে নতুন ট্রেন চালু হলে বা পুরনো ট্রেনের সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি করলে যাত্রীরা টিকিট কেটে কনফার্মড হওয়ার নিশ্চিত ভাবনায় যাত্রা করার সুযোগ পেতেন। যদিও মোদি সরকার তার ভোট বাজেটেও নতুন ট্রেনের কোনও ঘোষণা করেনি। পুরনো রুটের ট্রেনের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছনোর উপরেই জোর দিয়েছে।
রেল জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে দূরপাল্লার ট্রেনের প্রায় ১১ কোটি যাত্রীর টিকিট ওয়েটিং লিস্টে ছিল। তার মধ্যে শেষ মুহূর্তে কনফার্মড হয়েছে ৭ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি। অর্থাৎ টিকিট কনফার্মড হয়নি এমন লোকের সংখ্যা ৪ কোটির মতো। একইভাবে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৭ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটের মধ্যে কনফার্মড/আরএসি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ১০ লক্ষ। অর্থাৎ দু’কোটি ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট কনফার্মড হয়নি।
রেলমন্ত্রক ব্যাখ্যা দিচ্ছে, নতুন ট্রেন ঘোষণা না হওয়ার কারণে নয়, বরং সাধারণ যাত্রীরা এখন নিজেদের কনফার্মড টিকিট আর খুব একটা বাতিল করছেন না। বদলে অনেক পরিকল্পনামাফিক যাত্রা করছেন। যাতে অযথা টিকিট বাতিল করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়। আর টিকিট বাতিল না হলে ওয়েটিং লিস্টের টিকিট ‘আপগ্রেড’ হয়ে আরএসি বা কনফার্মড হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রসঙ্গত, রেলের প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমে (পিআরএস) ‘ফার্স্ট কাম, ফার্স্ট সার্ভড’ প্রক্রিয়ায় কনফার্মড টিকিট ইস্যু করা হয়। বিভিন্ন উৎসব-পরবের সময় যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে অতিরিক্ত ট্রেনও চালায় রেলমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এই ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীদের সুবিধার্থে ‘বিকল্প’ নামে ‘অল্টারনেট ট্রেন অ্যাকোমোডেশন’ (এটিএএস) প্রক্রিয়াও চালু করেছে রেল। এই পদ্ধতিতে কোনও ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রী আসন ফাঁকা থাকা ওই রুটের অন্য কোনও ট্রেনে শিফট করে যেতে পারেন।
যদিও চলতি আর্থিক বছরের আরও চার মাসের হিসেব হাতে আসা বাকি রয়েছে। রেলের ‘পিক সিজনে’র সেই হিসেব এলে হয়তো এই পরিসংখ্যানে কিছুটা বদল আসতে পারে। তবে তা খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই রেল আধিকারিকদের ধারণা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নতুন সরকার যদি পূর্ণাঙ্গ বাজেটে নতুন ট্রেনের ঘোষণা করে, কিংবা আসন সংখ্যা বাড়ানোর দিকে নজর দেয়, তাহলে এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব। অর্থাৎ আরও বেশি সংখ্যক যাত্রী রেল পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। তাতে ওয়েটিং লিস্টের চাপটা যেমন কমবে, ঠিক তেমনই রাজস্ব বাড়বে রেলের। সাধারণ রেলযাত্রীরাও তাই আশা করছেন কিছু নতুন ট্রেন ঘোষণার। তাহলেই একমাত্র রেলের কনফার্মড টিকিট হাতে পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের নিশ্চয়তা বাড়বে।