পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
প্রতি বছরই শীত উৎসবের সময় চড়ে যায় মুরগির মাংসের দর। এবারও তার অন্যথা হয়নি। ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজিতে ঘোরাঘুরি করেছে সেই দাম। মধ্যে তা নেমে এসেছিল ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। কিন্তু ফের ফিরেছে পুরনো দামের ঝাঁঝে। তা নিয়ে মনকষ্টের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। তাঁদের বক্তব্য, ভরা শীতে প্রতিবারই দাম খানিকটা কম থাকে আনাজপাতির। কিন্তু এবার অবস্থা বেশ শোচনীয়। কারণ, এখন বাজারে ১৫ টাকার নীচে যেমন ফুলকপি নেই, শীতকাল জুড়ে দীর্ঘদিন ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় কিনতে হয়েছে বেগুন, শিম, টম্যাটো, মটরশুঁটি, মুলো থেকে শুরু করে বিট, গাজর বা পালং শাক। শীতের আনাজের দাম ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কেন এতটা বাড়ল, তার উত্তর অনেকের কাছেই মিলছে না। এই অবস্থায় যেখানে রসনা তৃপ্তির সঙ্গেই কিছুটা পকেট সাশ্রয় করতে পারত মুরগির মাংস, সেই সুযোগও গিয়েছে।
কেন চড়ল মাংসের দাম? মাংস বিক্রেতাদের কথায়, এই সময় মুরগির মাংসের দাম ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় ঘোরাফেরা করা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কারণ মাংসের কারবারিদেরও জীবনযাপন করতে হয়। তাঁদের অভিযোগ, এই সময় অন্যান্য বছর যেখানে প্রাণীখাদ্য হিসেবে ভুট্টার কিলো ১৩ টাকার আশপাশে থাকে, এখন তা ২০ টাকা ছুঁয়েছে। পোলট্রির খাবারের দাম এভাবে চড়লে, মাংসের দাম বাড়তে বাধ্য, বলছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, গোটা দেশেই টানাটানি চলছে পশুখাদ্যের। পরিস্থিতি এমনই ঘোরালো, কেন্দ্রীয় সরকারকে বিদেশ থেকে ভুট্টা আমদানির ছাড়পত্র দিতে হয়েছে। দক্ষিণ ভারতে পোকার আক্রমণে ভুট্টার এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে, তার জের আগে থেকেই পড়তে শুরু করেছে সারা দেশে। এমনকী এ রাজ্যে এবার ভুট্টার ফলন ভালো হলেও, অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষতি প্রভাব ফেলেছে এখানে। পশুখাদ্যই যে এক্ষেত্রে খলনায়কের ভূমিকায়, তা জানিয়েছেন মাংস বিক্রেতারা। যদিও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বিয়ে বা লগনসার জন্য মুরগির মাংসের চাহিদা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাজার ভালো যাওয়ায় দামও তাই উপরের দিকে। আপাতত দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই, এমনটাই মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।