পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
শিল্প সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানো হবে, এ আর নতুন কী। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে পরপর চার বছর সেই আহ্বানই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় ছিলেন বিদেশিরাও। এবারও তার অন্যথা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী শুধু যোগ করে দিলেন, পরের বার যখন আসবেন, তখন পরিবারকে নিয়েই আসুন। বাংলা ঘুরে দেখুন। এখানকার আতিথেয়তার কোনও বিকল্প নেই। সেই উষ্ণতা উপভোগ করুন।
৫ হাজার অতিথি
এবার শিল্প সম্মেলনে পাঁচ হাজার অতিথি হাজির হয়েছেন, দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু আলোচনাসভায় হাজির হওয়া নয়। শিল্পের দরজা খোলার জন্য তাঁরা নিজেদের মধ্যে যে আলোচনা করলেন, তাতে লক্ষ্মীলাভের আশা সবারই। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, মোট ৮৬টি মউ স্বাক্ষর হয়েছে এবার। সরকারের সঙ্গে শিল্পপতিরা আলোচনায় বসেছেন। এমন বৈঠক হয়েছে ৬৩টি। লগ্নিকারী ও ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে মোট ১ হাজার ২০০টি বৈঠক করেছেন, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
সিলিকন ভ্যালি
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প গড়তে সরকার প্রথমে ১০০ একর জমি দিয়েছিল নিউটাউনে। সেই সিলিকন ভ্যালিতে পরে আরও ১০০ একর দেয় সরকার। পরে যে জমি দেওয়া হয়েছে, তাতে জায়গা নেওয়ার কথা কগনিজেন্ট, টেক মাহিন্দ্রা, ক্যাপজেমিনি, আইএসআই প্রভৃতি সংস্থার। কিন্তু বানতলায় যে লেদার কমপ্লেক্স আছে, সেখানেও আছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। তারা চাইলে সিলিকন ভ্যালিতেও ঠাঁই পেতে পারে। মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে, জানিয়েছেন শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অমিত মিত্র।
শিল্প অ্যাপ
শিল্প গড়তে গিয়ে যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তার সুরাহার জন্য একটি অ্যাপ চালু করল রাজ্য সরকার। শিল্প সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সেই অ্যাপ চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাপের নাম শিল্পদিশা। রপ্তানিকে গুরুত্ব দিতে এবং সেই সংক্রান্ত খোঁজখবর দিতে আনা হল আরও একটি অ্যাপ, যার নাম বাংলা রপ্তানি। এছাড়াও রাজ্যে কোথায় কত শিল্পের জমি আছে, তার হিসেব দিয়ে উদ্বোধন করা হয় একটি বইও।
জমি প্রদান
শিল্প সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বেশ কয়েকটি সংস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জমি দেওয়া হল। এর মধ্যে বানতলা চর্মনগরীতে ৭০ একর জমি দেওয়া হল তিনটি সংস্থাকে। ফুলবাড়িতে জমি দেওয়া হয় ৭০টি ইউনিটকে। হুগলিতে জমি দেওয়া হয় ২৭টি ইউনিটকে। হোসিয়ারি পার্কে ১৬৭টি সংস্থাকে জমি দেয় রাজ্য।