কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এ রাজ্যে বড় শিল্পের বিনিয়োগ প্রস্তাব এবং তার বাস্তবায়নের অঙ্ক সম্পর্কে খুব স্পষ্ট করে ধারণা দিতে নারাজ রাজ্য সরকার। বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্য যে আর্থিক সমীক্ষা পেশ করে, সেখানে এই সম্পর্কিত তথ্য খুব স্পষ্ট করে থাকে না। এবারের সমীক্ষায় সরকার জানিয়েছে, বিগত চার বছর ধরে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট হয়েছে, সেখানে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের অন্তত ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন হতে শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে রাজ্য সরকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছিল ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকার। সেবার অবশ্য বিনিয়োগ প্রস্তাবের সিংহভাগ দখলে রেখেছিল উৎপাদন ও নির্মাণ শিল্প। সেই অঙ্ক ছিল ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকার। এরপরই ছিল ছোট ও মাঝারি শিল্প। সেখানে প্রস্তাব আসে ৫২ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা বিনিয়োগের। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশের মতো ক্ষেত্রগুলি মিলিয়ে সামগ্রিক বিনিয়োগ প্রস্তাব ছিল মাত্র ১ হাজার ৫১৮ কোটি টাকার।
এবার আর্থিক সমীক্ষায় সরকার দাবি করেছে, রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম ইতিমধ্যেই হাওড়ায় দু’টি ফুড পার্ক চালু করেছে। সাঁকরাইলে তৃতীয় পর্যায়ের ফুড পার্কটি তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এছাড়াও বজবজে তৈরি হতে চলেছে গার্মেন্ট পার্ক, যেখানে ৯.৮৫ একর জায়গাজুড়ে ৭.২ লক্ষ বর্গফুটের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। সেটিও করছে শিল্পোন্নয়ন নিগম। গোয়ালতোড়ে ৯৫০ একর জমিতে যে শিল্পতালুক গড়ার প্রস্তাব ছিল, সেটি তৈরি করতে পূর্ত দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য। এছাড়াও হরিণঘাটায় ৩৫৮ একরের শিল্প তালুক গড়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।