গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এশিয়া কাপের জন্য ইতিমধ্যেই দল ঘোষণা করে দিয়েছে বিসিসিআই। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রধান লক্ষ্য আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য দল গোছানো। রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরখ করে নিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। জিম্বাবোয়ে সফরে বিশেষ নজর থাকবে লোকেশ রাহুল এবং দীপক চাহারের দিকে। চোট সারিয়ে দুই তারকাই দীর্ঘদিন পর টিমে ফিরেছেন। আইপিএলের শেষ দিক থেকেই মাঠের বাইরে ছিলেন লোকেশ। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দলে ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কুঁচকির চোটে কামব্যাকে বিলম্বিত হয়। এরপর এনসিতে রিহ্যাব চলাকালীন করোনায় সংক্রামিত হন তিনি। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও যেতে পারেননি রোহিতের ডেপুটি। শেষপর্যন্ত জিম্বাবোয়ে সফরে ফের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা যাবে তাঁকে। এছাড়া দীপক চাহারও দীর্ঘ ছ’মাস পর ভারতীয় দলে ফিরেছেন। নজর থাকবে কুলদীপ যাদব, ঈশান কিষান, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের দিকেও।
জিম্বাবোয়ে সফর ও এশিয়া কাপের মধ্যে কোনও গ্যাপ নেই। তাই জিম্বাবোয়েতে যাননি রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব সামলাবেন লক্ষ্মণ। গত জুনে আয়ারল্যান্ড সফরেও ধাওয়ানদের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তাঁর অধীনে লোকেশ রাহুলদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আবার অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, রাহুল দ্রাবিড়ের পরবর্তী কোচ হিসেবে লক্ষ্মণকে এখন থেকেই তৈরি করতে চাইছে বিসিসিআই।
এই সফরে যতই ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা অনুপস্থিত থাকুক, দুর্বল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ফেভারিট ধাওয়ানরাই। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের দেশে গিয়ে ওডিআই এবং টি-২০ সিরিজে দাপটে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। অবশ্য জিম্বাবোয়ের সাম্প্রতিক ফর্মও মন্দ নয়। তারাও ওডিআই সিরিজে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবোয়ের হেড কোচ ডেভ হাউটন। তিনি বলেন ‘ভারত অবশ্যই শক্তিশালী দল। তবে দেশের মাটিতে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। জিম্বাবোয়েকে হাল্কাভাবে নিলে মূল্য চোকাতে হবে ভারতকে।’ উল্লেখ্য, হারারে স্পোর্টস ক্লাবে আগামী ১৮, ২০ এবং ২২ আগস্ট তিনটি ওডিআই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।