বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বার্মিংহামে শরতের চারটি পদকের মধ্যে রয়েছে তিনটি সোনা ও একটি রুপো। আর সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ বছরেও তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করার প্রেরণা। এই প্রসঙ্গে বার্মিংহাম গেমসে দেশের সেরা ক্রীড়াবিদ বলেন, ‘ভাবতে পারিনি, এমন পারফরম্যান্স করতে পারব। ২০২০ থেকে কোভিড আতঙ্ক সামলে কমনওয়েলথের পোডিয়ামে ওঠা সহজ কথা নয়। এখনও আমার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় পেরোলাম। একবছর আগেও শারীরিক ও মানসিকভাবে কেমন যেন থমকে গিয়েছিলাম। এক অদ্ভুত জড়তা কাজ করছিল। টেবিল টেনিস থেকে সরে যাওয়ার চিন্তাভাবনাও করছিলাম। ঠিক তখনই শুভানুধ্যায়ী, পরিবার, কোচ, সতীর্থরা আমাকে সাহস জোগান। তাঁরা পাশে না থাকলে আমি এই উচ্চতায় পৌঁছতে পারতাম না।’
১৬ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসের সিঙ্গলসে সোনা জিতেছেন শরৎ। এই প্রসঙ্গে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা প্যাডলারের মন্তব্য, ‘তিন দিনে ১২টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। কোমরের যন্ত্রণায় রাতে ঘুমোতে পারতাম না। কিন্তু প্রতিযোগিতা যত এগিয়েছে ইচ্ছাশক্তি ততই বেড়েছে। এতগুলি পদকের মধ্যে সিঙ্গলসে সোনা জয় আমাকে আলাদা তৃপ্তি দিয়েছে।’ নিজের সাফল্যের থেকেও গোটা দলকে বেশি কৃতিত্ব দিয়েছেন শরৎ কমল। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে জাতীয় টিটি দলে পূর্ণ সময়ের কোচ নেই। জাতীয় টেবিল টেনিস সংস্থা ঘিরে আইনি লড়াই লড়ছে। তা সত্ত্বেও কমনওয়েলথ গেমসে টিটি প্লেয়ারদের পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে স্থায়ী কোচ ছাড়া ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব নয়।’