নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুঃসময় কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিরাট কোহলির। একটা সময় যিনি ব্যাট হাতে বিশ্ব শাসন করতেন, এখন তিনিই সেঞ্চুরির জন্য হাপিত্যেশ করছেন। ২০১৯ সালে শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান এসেছিল কোহলির ব্যাটে। তাও আবার ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি টেস্টে। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। শতরান তো দূরঅস্ত, কোনও ফরম্যাটেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না বিরাট। পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী। স্বভাবতই প্রবল চাপে ভিকে। তার মধ্যে ভারতীয় দলের নেতৃত্বও হারাতে হয়েছে তাঁকে। অনেকে ভেবেছিলেন, এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের নির্ণায়ক টেস্টে চেনা ছন্দে পাওয়া যাবে কোহলিকে। কিন্তু দুই ইনিংসেই তিনি ব্যর্থ। প্রথম ইনিংসে ১১ রানে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ রানেই থামতে হয় তাঁকে। এই ব্যর্থতা তাঁকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় প্রথম দশ থেকে ছিটকে দিল। বিরাট এখন ত্রয়োদশ স্থানে। গত ছ’বছরে এতটা খারাপ সময় দেখতে হয়নি কোহলিকে। জো রুট, বাবর আজমরা যখন দেশের জার্সিতে বাইশ গজে রানের বন্যা বওয়াচ্ছেন, তখন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছেন অন্ধকারে। প্রশ্ন উঠছে তাঁর ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়েও। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে যে কোনও ফরম্যাটেই তাঁর পক্ষে দলে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
র্যাঙ্কিংয়ে কোহলির মহাপতন কিছুটা হলেও ঢাকা পড়েছে ঋষভ পন্থের উত্থানে। কেরিয়ারের প্রথমবার পঞ্চম স্থানে ভারতের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১১১ বলে অনবদ্য ১৪৬ রান উপহার দিয়েছিলেন ঋষভ। দ্বিতীয় ইনিংসে হাঁকিয়েছিলেন হাফ-সেঞ্চুরি। ভারত ম্যাচটা জিততে না পারলেও ব্যক্তিগত সাফল্যের পুরস্কার পেলেন ঋষভ। র্যাঙ্কিংয়ে এক ঝটকায় ছ’ধাপ উঠে এসেছেন তিনি। শীর্ষে রয়েছেন জো রুট। ইংল্যান্ডের জয়ের অন্যতম কারিগর তিনি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ান মার্নাস লাবুশানে ও স্টিভ স্মিথ। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা কোভিডের কারণে এজবাস্টন টেস্টে খেলতে পারেননি। ফলে এক ধাপ নেমে নবম স্থানে তিনি। র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি ঘটেছে ইংল্যান্ডের আর এক তারকা ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোর। ৪৩ ধাপ উঠে তিনি এখন দশ নম্বরে।