গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আর তখনই সতীর্থদের সামনে টেস্টের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান বিরাট কোহলি। যা চমকে দেয় সবাইকে। ঋদ্ধিমান সাহা যেমন সেই মুহূর্তের কথা ভুলতে পারবেন না কখনও। এদিন তিনি বললেন, ‘ভাবতেই পারিনি বিরাটের মুখে এটা শুনব। আচমকা এই সিদ্ধান্ত শুনে প্রত্যেকে চমকে উঠেছিলাম। তবে দিনের শেষে এটা ওর একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। নিশ্চয়ই ও মনে করেছে যে আর বাড়তি চাপ নেবে না।’
বিরাটের নেতৃত্ব শুরু হয়েছিল অ্যাডিলেডে। সেই টেস্টেও ছিলেন ঋদ্ধি। আবার নেতা কোহলির শেষ টেস্টেও ড্রেসিং-রুমে ছিলেন তিনি। ক্যাপ্টেন ভিকে’র ইউএসপি কী? ঋদ্ধির উত্তর, ‘রেকর্ড অনুসারে ও টেস্টে দেশের সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন। ব্যাটসম্যান হিসেবেও অসাধারণ। অসম্ভব ইতিবাচক মানসিকতাই ওর নেতৃত্বের ইউএসপি। জয়ের জন্য যে কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত সহজে নিতে পারে।’
পূর্বসূরি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বলা হতো ক্যাপ্টেন কুল। বিরাট আবার আগ্রাসনের মূর্ত প্রতীক। আগামী দিনে নতুন অধিনায়ক কোন পথ বেছে নেবেন? স্ট্রেট ব্যাটে খেললেন ঋদ্ধি, ‘ধোনির সঙ্গে তুলনা হয় না বিরাটের। দু’জনে দু’রকম। বিরাটের আগ্রাসন চোখেমুখে ধরা পড়ে। অন্যজন শান্ত। দেখে বোঝাই যায় না যে ভিতরে ভিতরে কতটা আক্রমণাত্মক। এটাই পার্থক্য। ভবিষ্যতে কী হবে তা জানতে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।’
অনেক গর্বের জয়ের পাশাপাশি বিরাটের নেতৃত্বে ৩৬ রানে অল-আউটের লজ্জা রয়েছে ভারতের। ওই কলঙ্ক কতটা বিষণ্ণ করেছিল নেতাকে? ঋদ্ধি ফিরে গেলেন অ্যাডিলেডে, ‘উজাড় করে দেওয়ার পর হারলে কারওরই ভালো লাগে না। বিরাটেরও তাই। তবে সেদিন আমাদের ড্রেসিং-রুমে তেমন কোনও গুরুগম্ভীর আলোচনা হয়নি। সবাই জানত যে, অত কম রানে আউট হওয়ার মতো দল আমরা নই।’
গত দু’বছরে আসেনি সেঞ্চুরি। কী হল বিরাটের? সদ্যপ্রাক্তন নেতার পাশে দাঁড়াচ্ছেন ঋদ্ধি, ‘এই সময়ে বেশি ম্যাচ কিন্তু হয়নি। তার উপর ও মাঝে বিশ্রামও নিয়েছিল।’ অর্থাৎ, কোহলির ব্যাটে খুব তাড়াতাড়িই ‘বিরাট’ ইনিংসের আশায় শিলিগুড়ির পাপালি।