কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পাঁচ বছর পর বুধবার কোহলিকে দেখা গেল দলের একজন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে মাঠে নামেন তিনি। উল্লেখ্য, টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের জেরে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি, যা চমকে দেয় বিশ্বক্রিকেটকে। বুধবার সম্প্রচারকারী চ্যানেলে স্টেইন বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, দিনের পর দিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা খুব কঠিন। অধিনায়ক হিসেবে অনেক দায়িত্ব থাকে মাথায়। একই সঙ্গে ভাবতে হয় পরিবারের কথাও। ওর মেয়ে আবার একদম ছোট। তাকে নিয়েই প্রচুর ট্র্যাভেল করতে হয়। ফলে স্ত্রী-কন্যার উপর খুব চাপে পড়ে।’ প্রোটিয়া কিংবদন্তির মতে, ‘নেতৃত্ব মানেই মস্ত বড় গুরুদায়িত্ব। নিজের খেলার পাশাপাশি, দলের বাকিদের সেরাটা আদায় করার কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় সারাক্ষণ। কিন্তু, সঙ্গে ছোট বাচ্চা থাকলে সমস্যা বাড়ে। মাঠের বাইরে তার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ফলে বিরাট এবার সেদিকে নজর দিতে পারবে। আর ফোকাস দেবে ব্যাটিংয়ে। হয়তো এর ফলে কোহলিকে আরও ভালো ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখতে পাব আমরা।’ স্টেইন আরও বলেছেন, ‘কেরিয়ারের অনেকটা সময়ই অধিনায়কের মর্যাদা ভোগ করেছে বিরাট। এখন দলের একজন সাধারণ সদস্য। ফলে অনেক কিছুই নতুন লাগবে। আমার ধারণা, এবার থেকে চাপমুক্ত মনে খেলতে পারবে ও। গত দু’বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান নেই ওর। এবার তা আসবেই। মাথার উপর তো আর নেতৃত্বের চাপ নেই!’ভারতের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার বলেছেন. ‘নেতৃত্ব যাওয়ার পর নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। তবে অতীতে রাহুল দ্রাবিড়, শচীন তেন্ডুলকরও নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর লম্বা সময় ধরে খেলেছে। বিরাটও তা করতে পারে।’