ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
তাৎপর্যের বিষয় হল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আজাজের জন্ম মুম্বইয়ে। আত্মীয়স্বজনরা এখনও এই শহরেই থাকেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ শনিবার গ্যালারিতে বসে দেখেছেন ঘরের ছেলের স্বপ্নের পারফরম্যান্স। মুম্বইয়ের জোগেশ্বরী অঞ্চলে বাড়ি রয়েছে আজাজদের। মা পড়াতেন স্কুলে। বাবার ছিল রেফ্রিজারেটরের ব্যবসা। ১৯৯৬ সালে তাঁর বাবা-মা নিউজিল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন নতুন কর্মের সূত্রে। তখম আজাজের বয়স মাত্র আট। এদিন দশ উইকেট দখলের পর আবেগতাড়িত আজাজ বলছিলেন, ‘অবিশ্বাস্য লাগছে। এমন এক রেকর্ডের শরিক হব, কখনও কল্পনাই করিনি। তাও আবার আমার জন্মস্থান মুম্বইয়ে! ঈশ্বর হয়তো এমনটাই ঠিক করে রেখেছিলেন। আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। এটা শুধু আমার কাছেই নয়, পরিবারের কাছেও ভীষণ স্পেশ্যাল এক মুহূর্ত।’ ১০টি উইকেটের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে মধুর লাগছে? আজাজের উত্তর, ‘আলাদা করে কোনও উইকেটের কথা বলব না। প্রতিটি সাফল্যই আমাকে দারুণ তৃপ্তি দিয়েছে। আমি শুধু ব্যাটসম্যানকে ক্রমাগত পরীক্ষায় ফেলতে চেয়েছিলাম।’
আজাজের তুতো ভাই ওয়েস প্যাটেল জানিয়েছেন, ‘ওরা বিদেশে চলে গেলেও পারিবারিকভাবে এখনও আমরা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। গতবছরই নিউজিল্যান্ডে ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আজাজের এমন রেকর্ড আমাদের প্রত্যেককেই গর্বিত করেছে। ওর কাছে ভালো পারফরম্যান্সের আশা ছিল। তবে সেটা যে এমন ইতিহাসে জায়গা করে নেবে ভাবতে পারিনি।’পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চির আজাজ প্রথমে পেসার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, কুড়ি বছর বয়সে পৌঁছনোর পর পথ বদলে তিনি স্পিন বোলিংয়ে মন দেন। ২০১২ সালে টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। তিন বছর পর ওয়ান ডে ফরম্যাটে প্রথম খেলেন কিউয়িদের হয়ে। ২০১৮ সালে টেস্টে প্রথমবার দেখা যায় তাঁকে। এটা আজাজের কেরিয়ারের ১১তম টেস্ট। তার মধ্যে দু’বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধিদের উপস্থিতি সত্ত্বেও নিজেকে প্রমাণ করে নিউজিল্যান্ড দলে জায়গা শক্তপোক্ত করেন আজাজ। আরব সাগরের পাড়ে মহাকীর্তির ভেলা ভাসিয়ে স্বপ্নের নতুন দিগন্তে যাত্রা শুরু হল বাঁহাতি স্পিনারটির।
অনিল কুম্বলে: ১০ উইকেট ক্লাবে তোমায় স্বাগত আজাজ। দারুণ বল করেছ। টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে এমন কৃতিত্ব অর্জনের জন্য বিশেষ প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
হরভজন সিং: আজাজ প্যাটেল, তোমার এই পারফরম্যান্স কোনওদিন কেউ ভুলবে না। ৪৭.৫-১২-১১৯-১০। অসাধারণ। উঠে দাঁড়িয়ে তোমার জন্য হাততালি দিচ্ছি।
শচীন তেন্ডুলকর: এক ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়ার জন্য অনেক শুভেচ্ছা আজাজ প্যাটেল। ভারতের বিরুদ্ধে খেললেও মহারাষ্ট্র তোমার জন্মভূমি। তাই ওয়াংখেড়েতে এই অনন্য নজির সত্যিই অবিস্মরণীয়।
ইরফান পাঠান: দয়া করে কোনও ভারতীয়কে অন্য দেশে যেতে দেবেন না। যাওয়ার কথা না বলাই ভালো। দশ কা দম।
বীরেন্দ্র সেওয়াগ: এক ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়া কঠিনতম কাজ। আজাজ প্যাটেল, এই দিনটি তোমার সারা জীবন মনে থাকবে। মুম্বইতে জন্ম, মুম্বইতে ইতিহাস গড়া। অনেক অভিনন্দন।
রবি শাস্ত্রী: এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের সব উইকেট নেওয়া ক্রিকেটে সবথেকে কঠিন কাজ। সত্যিই অসাধারণ কীর্তি। অনেক শুভেচ্ছা আজাজ।
পার্থিব প্যাটেল: প্যাটেল ভারতেরই হোক বা নিউজিল্যান্ডের, অসাধারণ কিছু করে দেখায়। প্রথম কিউয়ি ও টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে এই গৌরব অর্জনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
অ্যারন ফিনচ: আমার দেখা সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। আজাজ প্যাটেল এমন কৃতিত্বের জন্য তোমায় অভিনন্দন।