কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শ্রেয়স অবশ্য ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে চাইছেন না। মাথায় রাখছেন না অতীতও। তিনি চোখ রাখছেন শুধু বর্তমানের দিকেই। আর লক্ষ্য পূরণে সুনীল গাভাসকরের পরামর্শকে করছেন জীবনের ধ্রুবতারা। তাঁর কথায়, ‘ভাবিনি, ওঁর থেকে টেস্ট ক্যাপ পাব। টুপি হাতে তুলে দিয়ে উনি অতীত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বারণ করেছিলেন। শুধু বর্তমানে থাকতে বলেছিলেন। প্রতিটি বলে ফোকাস রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি সেটাই করেছি। ফলও পেয়েছি হাতেনাতে।’ বৃহস্পতিবার ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। শতরানের হাতছানিতে রাতে ঘুম হয়নি ভালো। বললেন, ‘প্রথমদিন ভালোই ব্যাট করেছি। শুক্রবার নতুন করে শুরুর ব্যাপার ছিল। ঘুমোতে পারছিলাম না। ভোর পাঁচটাতে উঠে পড়েছিলাম।’ শতরানের তৃপ্তি অবশ্য ভরিয়ে দিয়েছে মন। মাঠে উচ্ছ্বাসের মধ্যেও তা প্রতিফলিত।
শ্রেয়সের বাবা সন্তোষ আয়ার বরাবর ছেলেকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে দেখতে চাইতেন। এই ইনিংস সে জন্যই হয়ে উঠছে আরও স্পেশাল। শ্রেয়সের মতে, ‘এটাই বাবাকে আমার তরফ থেকে সেরা উপহার। এই সেঞ্চুরি তাঁকে দারুণ তৃপ্তি দেবে।’ ব্যক্তিগত কোচ প্রভীন আমরের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন তিনি। অবশ্য খুশির এই আবহেও শ্রেয়সকে চিন্তায় রাখছে বাইশ গজ। বললেন, ‘উইকেট থেকে কোনও সাহায্যই পাওয়া যাচ্ছে না। রান আটকে চাপে ফেলতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। একটা উইকেট পড়লেই কিন্তু বদলে যাবে ম্যাচের চেহারা।’