পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কুলজিৎ সিং : ১৯৮৪ সালে সর্বভারতীয় স্কুল গেমসে পাঞ্জাবের হয়ে দারুণ খেলে ইন্দার সিংয়ের নজরে পড়েছিলাম। পরের বছরেই জেসিটিতে যোগদান। টানা চার বছর খেলেছি এই ক্লাবে। ইন্দার সিং কিংবা সুখবিন্দর স্যার সাধারণত দু’বেলা প্র্যাকটিস করাতেন না। মিল কম্পাউন্ডেই সকালেই গা ঘামাতাম। কিন্তু ১৯৮৭ সালে শতবর্ষিকী ডুরান্ডে খেলতে দিল্লি যাওয়ার আগে দু’বেলা অনুশীলন করতে হয়েছিল। আসলে পাঞ্জাবের ওই দুই দিকপাল ফুটবল ব্যক্তিত্বেই যে কোনও মূল্যে এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলেন। সেবার মোহন বাগানও খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিল। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডে তখন দেবাশিস মুখার্জি, কৃষ্ণেন্দু রায়, সত্যজিৎ চ্যাটার্জি, শিশির ঘোষের মতো তারকা ফুটবলাররা। কোচ কাম ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য। সেমি-ফাইনালে মোহন বাগান ৩-০ গোলে চূর্ণ করল ইস্ট বেঙ্গলকে। রাতে দরিয়াগঞ্জের হোটেলে সুখী স্যার আমাদের ডেকে বললেন, ‘ওদের তুখোড় ফুটবল দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইস্ট বেঙ্গলকে তিন গোল দিয়ে ওরা আত্মতুষ্ট হবেই। আর ফাইনালে সেই ফায়দা নিতে হবে আমাদের।’
কোচের কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছিল। এখনও মনে আছে, শতবার্ষিকী ডুরান্ড ফাইনাল। ডানদিক থেকে মোহন বাগান বক্সে ভেসে এসেছিল একটি ক্রস। দীর্ঘকায় সুব্রত ভট্টাচার্যকে টপকে হেড নিয়েছিলাম। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসতেই গোলে ঠেলেছিল দরবারা সিং জয়সূচক গোল করেছিল। চোটের জন্য সেই ম্যাচে শিশির না খেলায় আমাদের সুবিধা হয়েছিল। বলতে দ্বিধা নেই যে, সেই টুর্নামেন্ট আমায় প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল। ১৯৮৮ সালে ইস্ট বেঙ্গল চাইলেও কলকাতায় আসিনি। জেসিটিতে খেলে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করাই ছিল লক্ষ্য। তবে তার পরের বছর লাল-হলুদের অফার ফেরাতে পারিনি। ১৯৯০’এ মোহন বাগান আমায় তুলে গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে রেখেছিল। কিন্ত খেলার ইচ্ছা ছিল লাল-হলুদেই। ভোররাতে নৈশপ্রহরীকে মেরে পালিয়ে গিয়ে উঠেছিলাম ইস্ট বেঙ্গলের ডেরায়। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ পরপর তিনবার ডুরান্ড জিতে হ্যাটট্রিক করেছিলাম আমরা।পরে চাকরি নিয়ে ফিরেছি পাঞ্জাব পুলিসে। ১৯৯৯ পর্যন্ত পাঞ্জাব পুলিসে খেললেও সেই আনন্দ পাইনি।