রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
অন্তিম ওভারে ধোনি বাহিনীর প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। কুড়ির ক্রিকেটে এই টার্গেট কার্যত নস্যি। কিন্তু স্বল্পপুঁজি নিয়েও চেন্নাইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তারকা স্পিনার সুনীল নারিন। প্রথম বলে ফেরান স্যাম কারানকে। পঞ্চম বলে রবীন্দ্র জাদেজা লেগ বিফোর হতেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ বয়ে যায় নাইট শিবিরে। যদিও প্রত্যাশা জাগিয়েও শেষরক্ষা করতে ব্যর্থ কেকেআর। এই নিয়ে তিনবার চেন্নাইয়ের কাছে শেষ বলে হারল নাইটরা। ২০১২ ও ২০২০ সালেও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল অন্তিম ওভারেই।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় শাহরুখ খানের দল। গত দু’টি ম্যাচের মতো শুরুতে অবশ্য কেকেআরের ঝোড়ো ব্যাটিং দেখা যায়নি। রান আউট হয়ে দ্রুত মাঠ ছাড়েন শুভমান গিল (৯)। তরুণ বাঁহাতি বেঙ্কটেশ আয়ার ভালো সূচনা করেও শার্দূল ঠাকুরের বলে ১৮ রানে ধরা পড়েন ধোনির হাতে। ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান ৮ রানে হ্যাজলউডের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডু’প্লেসির হাতে ক্যাচ জমা দেন। বাউন্ডারি লাইনে অনবদ্য প্রয়াসে তা তালুবন্দি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটারটি। একমাত্র রাহুল ত্রিপাঠি (৪৫) ছাড়া আর কাউকেই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে দেখা যায়নি।
তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ঢেকে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন নীতীশ রানা, দীনেশ কার্তিক। ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল যদি স্বমহিমায় থাকতেন, তাহলে নাইটদের স্কোর দু’শোর দোরগোড়ায় পৌঁছে যেত সহজেই। কিন্তু রাসেল ২০ রানে বোল্ড হয়ে ডাগআউটে ফেরেন। তুলনায় দীনেশ কার্তিক ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। মাত্র ১১ বলে ২৬ রান যোগ করেন কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক। যদিও বহুক্ষেত্রে তিনি ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছেন। নীতীশ রানার সংগ্রহ অপরাজিত ৩৭। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কেকেআর ৬ উইকেটে তোলে ১৭১ রান।
জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। মূলত টিম গেমেই তারা বাজিমাত করল। ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কার্যত একাই দলকে জিতিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের তরুণ ব্যাটসম্যানটি। এদিনও ডু’প্লেসির সঙ্গে জুটি বেঁধে যোগ করেন ৭৪ রান। ঋতুরাজ ২৮ বলে ৪০ রানে আউট হন। রক্তাক্ত হাঁটু নিয়েও ৩০ বলে ৪৩ রান করে ডু’প্লেসি যখন মাঠ ছাড়েন, তখন শতরানের গণ্ডি টপকে গিয়েছে চেন্নাই। ওই সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা সহজেই জিতবে ধোনি ব্রিগেড। কিন্তু নারিন, বরুণ, ফার্গুসনরা ভুল শুধরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন। মাত্র ৪২ রানে চেন্নাই পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। মঈনকে ৩২ রানে ফেরান ফার্গুসন। ১১ করে রান আউট হন রায়না। অধিনায়ক ধোনিকে (১) অনবদ্য গুগলিতে বোল্ড করেন বরুণ। ১০২/১ থেকে চেন্নাইয়ের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৪২/৬। ম্যাচে তখন জাঁকিয়ে বসেছে নাইটরা। শেষ বলে সিএসকে’র দরকার ছিল ২৬ রান। ঠিক তখনই ব্যাটে ঝড় তোলেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১৯তম ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বিরুদ্ধে ২২ রান তুলে ম্যাচ কার্যত পকেটে পুরে ফেলেন জাড্ডু। এটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। জাদেজার ব্যাটিং দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, স্যাকরার ঠুকঠাক, কামারের এক ঘা। নাইটদের মুখের গ্রাস কেড়ে তিনিই ম্যাচের সেরা।